প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনায় বাংলা কে বাদ দেওয়ায় কেন্দ্রের বিরোধিতায় মমতার ‘পাশে’ বাম-কংগ্রেস
নিউজ ডেস্ক : – পরিযায়ী শ্রমিক নিয়ে গোটা দেশে চলল এক ঘৃণ্য রাজনীতি । বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের করুন দুর্দশা কষ্টের প্রতিচ্ছবি আমরা দেখলাম .লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক এই কষ্টের মধ্যে ফিরে এলেন বাংলায় .কিন্তু আর্শ্চয জনক ভাবে সেই বাংলা গরিব কল্যণ যোজনা থেকে বাদ।প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনায় নাম নেই পশ্চিমবঙ্গের একটি জেলারও। কেন বাংলার কোনও জেলার নাম নেই? এই নিয়ে প্রতিবাদে সরব হয়েছে এরাজ্যের শাসক-বিরোধী উভয়পক্ষ-ই। নাম না থাকা নিয়ে বুধবার সর্বদল বৈঠকের ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন সর্বদলীয় বৈঠক বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নানকে ফোন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার বৈঠকে বিরোধীরা পূর্ণ সহোযোগিতা করবেন বলে ফোনে মুখ্যমন্ত্রীকে জানান আবদুল মান্নান।
প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ যোজনায় বাংলার নাম বাদ থাকার প্রসঙ্গে সর্বদলীয় প্রতিবাদ চায় বাম, কংগ্রেস- দুই দলই। কংগ্রেস সূত্রে খবর, বুধবারের বৈঠকে আবদুল মান্নান নিজে থাকতে না পারলেও কংগ্রেস প্রতিনিধি থাকবেন। আবদুল মান্নান এদিন তোপ দাগেন, “বিজেপি বাংলা বিরোধী। তাই বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা ভাবা হয়নি। বাংলার নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।”
অন্যদিকে সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “কেন্দ্র বঞ্চনা করেছে। কিন্তু রাজ্যেরও দোষ রয়েছে। প্রতিটি জেলায় ২৫ হাজার বেশি পরিযায়ী শ্রমিক ফিরেছে। কিন্তু সেই তালিকা দেয়নি রাজ্য? আমরা এর প্রতিবাদ করব।” পাশাপাশি সর্বদলীয় বৈঠকে অন্যান্য আরও ইস্যু, যেগুলি রাজ্য সরকার এতদিন ঠিক করেনি, বামেরা তারও বিরোধিতা করবে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের ৫০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা। গত সপ্তাহে সাংবাদিক বৈঠক করে গরিব কল্যাণ রোজগার যোজনার কথা ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে ৬টি রাজ্যের মোট ১১৬টি জেলায়। কিন্তু তাতে বাংলার কোনও জেলার নাম নেই। কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কোনও রাজ্যের যেসব জেলাগুলিতে ২৫ হাজার বা তার বেশি পরিযায়ী শ্রমিক ঘরে ফিরেছেন, সেই জেলাগুলির নাম রয়েছে। তালিকায় থাকা জেলাগুলির পরিযায়ী শ্রমিকরা এই প্রকল্পের আওতায় ১২৫ দিনের কাজ পাবেন।
যে জেলায় পঁচিশ হাজারের বেশী পরিযায়ী শ্রমিক আছে সেই জেলা এই সুবিধা পাবে ।এই হিষাবে পশ্চিম বাংলার বেশ কয়েকটি জেলা এই সুবিধা পেত।কিন্তু দূর্ভাগ্য জনক ভাবে বাংলা বাদ ।