নিউজ ডেস্ক: – কথায় আছে, লক্ষ্মী চঞ্চলা। সপ্তাহের শুরুতেই রিলায়েন্সের কর্ণধার মুকেশ আম্বানির অবস্থা তা যেন হাতেনাতে প্রমাণ করে দিল। একদিনে ৬.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৫০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়লেন তিনি। লকডাউনে ডিজিটাল ব্যবসায় মুনাফা বাড়লেও ধাক্কা খেয়েছে রিলায়েন্সের তৈল শোধনাগারের ব্যবসা। ফলে বিশ্বে ধনী ব্যক্তিদের তালিকাতেও তিন ধাপ নেমে এলেন তিনি। আপাতত ধনসম্পদের নিরিখে বিশ্বের তাবড় ধনীদের তালিকায় তিনি নবম স্থানে রয়েছেন।
গত শুক্রবার সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকের আর্থিক লাভ-ক্ষতির হিসেব-নিকেশ ঘোষণা করেছে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (RIL)। মহামারী আর লকডাউনের কোপে বন্ধ ছিল পরিবহণ ব্যবস্থা। ফলে জ্বালানি তেল কম বিক্রি হয়েছে। আর এতেই জোর ধাক্কা খেয়েছে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রি। গত আর্থিক বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের তুলনায় চলতি আর্থিক বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে রিলায়েন্সের নিট লাভ এক ধাক্কায় ১৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
এই ফলাফলের জেরে সপ্তাহের শুরুতে শেয়ার মার্কেট খুলতেই লগ্নিকারীরা দেদার শেয়ার বিক্রি করতে শুরু করেন। যার ফলে হুড়মুড়িয়ে পড়তে থাকে রিলায়েন্সের শেয়ারের মূল্য। এদিন এই সংস্থার শেয়ার সূচক ৮.৬২ শতাংশ হ্রাস পায়। ফলে প্রতি শেয়ারের মূল্য কমে দাঁড়ায় ১ হাজার ৮৭৭ টাকা। এদিকে, শেয়ারের দামের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পড়ে যায় রিলায়েন্সের বাজার মূল্য। এক দিনে রিলায়েন্সের বাজার মূল্য ১ লক্ষ কোটি টাকার বেশি হ্রাস পেয়েছে। যার জেরে ধাক্কা খেয়েছে মুকেশ আম্বানির সম্পত্তিও।
এতদিন ৭১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার-সহ বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় ৬ নম্বরে ছিলেন মুকেশ আম্বানি। বর্তমানে তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ৬.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যে গতিতে তাঁর উত্থান হয়েছিল, তাতে মুহুর্তে পিছনে ফেলেছিলেন টেসলা এবং স্পেসএক্সের প্রধান, অ্যালফাবেটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা, বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের সিইও ওয়ারেন বাফেট এবং ইউরোপের ধনীতম ব্যক্তি শিল্পপতি বার্নার্ড আরনল্টের মতো ধনকুবেরদের। কিন্তু ওই যে কথায় আছে, লক্ষ্মী চঞ্চলা। তাই একবেলায় একবারে তিন ধাপে নেমে গেলেন তিনি। ঠিক যেন সাপ-মইয়ের খেলা!