ওয়েব ডেস্ক: বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক অশান্তির ঘটনায় তীব্র নিন্দা করেও বিতর্ক এড়াতে পারলেন না ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি । তাঁর মন্তব্যের বিরোধিতা করে পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ দায়ের করলেন বিজেপির (BJP) আইনজীবী নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। সাম্প্রদায়িক উসকানি এবং ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করা – এই দুই ধারায় তিনি মামলা দায়ের করেছেন আব্বাসের বিরুদ্ধে।
রবিবারই বাংলাদেশে ঘটে চলা সাম্প্রদায়িক অশান্তির নিয়ে লিখিত বিবৃতি জারি করেছিলেন ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা তথা বামফ্রন্টের দোসর ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (ISF) প্রতিষ্ঠাতা আব্বাস সিদ্দিকি। তাতে তিনি স্পষ্ট লিখেছিলেন, ”অপরাধীদের কোনও ধর্ম হয় না।” বিবৃতিতে যেমন পবিত্র কোরান অবমাননার অভিযোগের নিন্দা করেছিলেন, একইভাবে হিন্দু মন্দির ভাঙচুর এবং পুজোমণ্ডপে হামলারও প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন আব্বাস।
পরে বিষয়টি নিয়ে খানিকটা বেকায়দায় পড়ে সংযুক্ত মোর্চা জোটের বাকি দুই সদস্য – সিপিএম, কংগ্রেস। এনিয়ে সিপিএম (CPM)পলিটব্যুরো সদস্য সুজন চক্রবর্তী এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী আলাদাভাবে নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে দাদার উলটোপথে হেঁটেছেন আইএসএফ বিধায়ক তথা আব্বাসের ভাই নওশাদ সিদ্দিকি। তিনি দোষীদের শাস্তির দাবিতে চিঠি পাঠিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ।
তবে আব্বাস সিদ্দিকির ভূমিকা নিয়ে এবার আইনের দ্বারস্থ হল বিজেপি। রবিবার রাতেই কলকাতার পুলিশ কমিশনারের কাছে ১৫৩এ এবং ২৯৫এ ধারায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। আব্বাসের মন্তব্য একজন হিন্দু হিসেবে তাঁর খারাপ লেগেছে বলে দাবি জানিয়ে ফেসবুক পোস্টও করেন তরুণজ্যোতি। পোস্টে তিনি স্পষ্ট লিখেছেন, আব্বাসের মন্তব্য পশ্চিমবঙ্গের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, শান্তির পরিবেশ বিনষ্ট করতে পারে। একজন হিন্দু হিসেবে তিনি এ নিয়ে সতর্ক এবং সেই সতর্কতা থেকেই পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাচ্ছেন। পুলিশ কমিশনারের কাছে তাঁর আবেদন, ১৫২এ অর্থাৎ সাম্প্রদায়িক উসকানি ও ২৫৩এ অর্থাৎ ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত – এই দুই ধারায় তাঁর দায়ের করা মামলাকে এফআইআর হিসেবে গণ্য করা হোক।