দীর্ঘ তিন মাস অনুপস্থিত মন্ত্রীসভার বৈঠকে: মন্ত্রীত্ব ছাড়ার পথে শুভেন্দু অধিকারী! জল্পনা তুঙ্গে
নিউজ ডেস্ক :- শুভেন্দু কে নিয়ে বাড়ছে জল্পনা বসড়ছে শাসক দলের উদ্যেগ । বাড়ছে সমস্যা । শুভেন্দু অধিকারী শুধু তৃণমূলে একজন জননেতা নন, তিনি দুটি বড় দফতর-সহ ততোধিক দফতরের মন্ত্রীও। কিন্তু বিগত তিনমাস ধরে তিনি কোনও ক্যাবিনেট বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না। তাহলে কি তৃণমূল কোনও কড়া ব্যবস্থা নেবে, নাকি এখনও অপেক্ষা করবে তৃণমূল? শুভেন্দুর মেগা শো-এর দিকে তাকিয়ে রয়েছে তারা।
তিন মাসাবধি কাল শুভেন্দুর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হেছে তৃণমূলের। সম্প্রতি শুভেন্দু কিছু ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন, যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে চর্চা চলছে সমানে। যার ফলে জল্পনা চলছে, তিনি দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন কিংবা পৃথক দল বা মঞ্চ তৈরি করতে পারেন। সে নিয়ে জল্পনার মধ্যেই ফের আর এক আশঙ্কা উড়ে এসেছে।
শুভেন্দু সম্প্রতি বলেছেন, কাজ করতে গেলে কোনও পদ লাগে না। মানুষের জন্য কাজ করার ইচ্ছা থাকলেই কাজ করা যায়। সুখের দিনে না হলেও দুখের দিনে সবার আগে শুভেন্দুকে পাবেন। তারপর তিনি জানিয়েছেন, ১৯তারিখের মেগা শো-তে তিনি যা বলার বলবেন, সেটাই এখন জল্পনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
এখন জল্পনা চলছে, তাহলে কি শুভেন্দু মন্ত্রিত্ব থেকে সরতে পারেন। এমন কোনও বড় ঘোষণা হতে পারে। বা তৃণমূল তাঁকে সরিয়ে দিতে পারে মন্ত্রিত্ব থেকে। কেননা শুভেন্দু দীর্ঘদিন ক্যাবিনেট বৈঠতে যাচ্ছেন না। এটা রাজ্যের তৃণমূল সরকারের কাছে একটা বড় ধাক্কা। শুভেন্দুর না থাকা প্রভাবও ফেলছে তৃণমূলের পাশাপাশি রাজ্য সরকারের কাছেও।
শুভেন্দু অধিকারীর এই অরাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগদান নিয়ে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হয়ে উঠেছে। নন্দীগ্রাম দিবসে তা অন্য মাত্রা পায়। এতদিন শুভেন্দু একা এই দূরত্ব বৃদ্ধি করে সমান্তরাল জনসংযোগ চালাচ্ছিলেন। এবার তৃণমূল নন্দীগ্রামে পৃথক কর্মসূচি করে পথও আলাদা করে দেন। তৃণমূলের সেই বিতর্ক এবার রাজ্য সরকারের অন্দরে ঢুকে পড়েছে।
শুভেন্দু এখন সর্বত্রই দাদা নামে পরিচিত হচ্ছেন। তাঁর নামের পাশে তৃণমূল নেতা বা মন্ত্রী শব্দটি কোথাও ব্যবহার করতে দেখা যাচ্ছে না। এটাও জল্পনা বাড়াচ্ছে। তাই আগামী দিনে তিনি মন্ত্রিসভা থেকেও দূরে চলে যান কি না, তা দেখার। শুভেন্দু যদি মন্ত্রিপদ ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন, তা হবে তৃণমূলের বড় আঘাত।