নিউজ ডেস্ক :- আসামের নাগরিকপঞ্জি নিয়ে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক মার্কিন কমিশন (ইউএসসিআইআরএফ)।শুক্রবার ইউএস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামে চূড়ান্ত নাগরিক তালিকা (এনআরসি) ‘ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের লক্ষ্যবস্তু এবং মুসলমানদের রাষ্ট্রহীন করে তোলার’ একটি হাতিয়ার। এতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বেছে বেছে মুসলমানদের টার্গেট করা হয়েছে। তাদের রাষ্ট্রহীন করতে এনআরসি তালিকাকে হাতিয়ার করছে মোদি সরকার।
মুসলমানদের রাষ্ট্রহীন করতেই আসামের এনআরসি করা হয়েছিল : প্রকাশিত হল আমেরিকার প্রতিবেদন আসামের নাগরিকপঞ্জি নিয়ে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক মার্কিন কমিশন (ইউএসসিআইআরএফ)।শুক্রবার ইউএস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামে চূড়ান্ত নাগরিক তালিকা (এনআরসি) ‘ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের লক্ষ্যবস্তু এবং মুসলমানদের রাষ্ট্রহীন করে তোলার’ একটি হাতিয়ার। এতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বেছে বেছে মুসলমানদের টার্গেট করা হয়েছে। তাদের রাষ্ট্রহীন করতে এনআরসি তালিকাকে হাতিয়ার করছে মোদি সরকার।
‘ইস্যু ব্রিফ: ইন্ডিয়া’ নামের ওই রিপোর্টে সংস্থাটি জানিয়েছে, এনআরসির মাধ্যমে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে এবং বিশেষত এর দ্বারা ভারতীয় মুসলমানদের রাষ্ট্রহীন করে তোলা এর অন্যতম উদ্দেশ্য। ভারতের অভ্যন্তরে ধর্মীয় স্বাধীনতার অবস্থার নিম্নমুখী প্রবণতার এটি একটি বড় উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।নীতি বিশ্লেষক হ্যারিসন একিন্সের তদারিকতে ওই রিপোর্টটি তৈরি করেছে ইউএসসিআইআরএফ।
এতে আরও হয়, ‘ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার যে ক্রমশ নিম্নমুখী হচ্ছে, সংখ্যালঘু মুসলিমদের বিতাড়ন করার এই প্রচেষ্টাই তার অন্যতম উদাহরণ। আগস্ট মাসে এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর বিজেপি সরকার এমন কিছু পদক্ষেপ করেছে, তাতে তাদের মুসলিম বিরোধী মনোভাবই প্রতিফলিত হয়েছে।
মুসলিমদের বাদ দিয়ে হিন্দু এবং বাছাই করা কিছু সংখ্যালঘুদের সুবিধা করে দিতেই যে নাগরিকত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে ধর্মীয় পরীক্ষার আয়োজন, বিজেপির ইঙ্গিতেই তা স্পষ্ট।’ইউএসসিআইআরএফ জানিয়েছে, ‘বিজেপি ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য একটি ধর্মীয় পরীক্ষা তৈরির লক্ষ্যে ইঙ্গিত দিয়েছে যাতে হিন্দুরা এবং কিছু ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা বেঁচে যাবে ঠিকই, তবে বাদ পড়বেন মুসলমানরা।’