এবিএন নিউজ-এ খবরের জেরে শুভেন্দু অধিকারী খোঁজ নিলেন “কিডনি খুইয়ে প্রতারিত যুবক অরূপের”, সহযোগিতারও আশ্বাস

Spread the love

এবিএন নিউজ-এ খবরের জেরে শুভেন্দু অধিকারী খোঁজ নিলেন “কিডনি খুইয়ে প্রতারিত যুবক অরূপের”, সহযোগিতারও আশ্বাস

পরিমল কর্মকার (কলকাতা) : ২১ বছর আগে আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞাপন দেখে অভাবের তাড়নায় দালাল চক্রের পাল্লায় পড়ে অরূপ কুমার দে নামের এক যুবক কিডনি বিক্রি করে তিন লক্ষ টাকা পাননি বলে অভিযোগ। তিনি বর্তমানে কলকাতার বাঁশদ্রনীর এ-৩১ চিরন্তনী পার্কের (কলকাতা: ৭০০০৭০) বাসিন্দা। সেই একই ফোন নম্বরে (৯৮৩১৩৬৪৯৮৪) আনন্দবাজার পত্রিকায় গত ৮ আগস্ট ফের “কিডনি চাই” বলে বিজ্ঞাপন দেয় ওই দালাল চক্রের মূল পান্ডা নীতিশ চাউদা। হঠাৎই ওই বিজ্ঞাপনটি অরূপের নজরে পড়ে যায়। নানা কৌশল অবলম্বন করে ওই পান্ডার সহকারী রনবীর রজককে রুবি হাসপাতালের কাছে ধরে ফেলে অরূপ। এরপর নিকটস্থ আনন্দপুর থানায় খবর দিলেও পুলিশ না আসায় তাকে গ্রেফতার করানো সম্ভব হয়নি বলে অভিযোগ প্রতারিত যুবক অরূপ কুমার দে’র।

তারপর চক্রের পান্ডা রনবীর রজকের ভবানীপুরের বাড়িও দেখে আসে অরূপ। রণবীরের বাড়ির ঠিকানা ৩৯-এ, গোবিন্দ বোস লেন (যদুবাবুর বাজারের কাছে)।

প্রসঙ্গত : প্রায় ২ মাস আগে লিখিতভাবে সমগ্র ঘটনাটি জানিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর, কলকাতার যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) সহ একাধিক জায়গায় ওই চক্রের পান্ডার ঠিকানা জানিয়ে গ্রেফতারের আবেদন জানালেও পুলিশ তাদের এখনও গ্রেফতার করেনি বলে অভিযোগ।

এই খবরটি এবিএন নিউজে গত ১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর পর পর দু’টি প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়। এরপরই কয়েকদিন আগে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অরূপের ফোন নম্বরে (৯১৬৩২৭৪৩০৬) ফোন করে বিশদে ঘটনাটি জেনে নেন এবং এব্যাপারে তিনি তার পাশে থেকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন বলে জানান প্রতারিত যুবক অরূপ। এইসঙ্গেই অরূপ জানায়, এবিএন নিউজে এই ঘটনাটি প্রকাশিত না হলে ওই দালাল চক্রের খবর কেউ জানতেই পারতো না। তবে এইসঙ্গেই অরূপ বলে, “শুভেন্দু অধিকারী আমার খবর নিলেও অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তারা আমার সঙ্গে কোনো যোগাযোগই করেননি…. এটাই দুঃখের। বর্তমানে আমি বেকার, অসুস্থ ও আর্থিক অনটনের মধ্যে রয়েছি। আমার স্ত্রী ও একটি ছোট মেয়ে রয়েছে। আমরা ভাড়া বাড়িতে থাকি। খুবই কষ্টের মধ্যে রয়েছি। সহৃদয় ব্যাক্তিরা আমার ফোন নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন (৯১৬৩২৭৪৩০৬)। কেউ যদি আমাকে একটা যেকোনো বসা কাজের সুযোগ করে দেন, তাহলে আমি কৃতজ্ঞ থাকবো…..।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.