নিউজ ডেস্ক:- জঙ্গিদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েছে কাশ্মীরের DSP দেবেন্দ্র সিং। তাকে জেরা করে জানা গিয়েছে, এই কাজের জন্য ১২ লক্ষ টাকা নিয়েছিল সে। তদন্তে আরও জানা যায়, নিজের বাড়িতে দুই জঙ্গিকে আশ্রয় দিয়েছিল দাভিন্দর সিং। গ্রেফতারের পর দাভিন্দরের বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ।
তারপর প্রকাশ্যে আসে এই তথ্য। জানা গিয়েছে, হিজবুলের এই জঙ্গিদের নিজের বাড়িতেই লুকিয়ে রেখেছিলেন দাভিন্দর। শ্রীনগরের বাদামিবাগ ক্যান্টনমেন্টে ছিল দাভিন্দর সিংয়ের কোয়ার্টার। সেখানেই হিজবুল জঙ্গিদের লুকিয়ে রেখেছিল এই পুলিশ কর্তা। সর্বক্ষণ কড়া নিরাপত্তায় মোড়া থাকত এই কোয়ার্টার। তাহলে কীভাবে সকলের চোখ এড়িয়ে দাভিন্দর এমন কাণ্ড ঘটালেন তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ২০০১ সালে সংসদ হামলার মূলচক্রী হিসেবে ফাঁসিতে ঝোলা আফজল গুরুকে দিল্লিতে এক জঙ্গিকে লুকিয়ে রাখার নির্দেশ দিয়েছিল দেবেন্দ্র। সেই জঙ্গিই পরে সংসদে হামলা চালায়।
শুধু এই ঘটনাই নয়, দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই জঙ্গিদের সাহায্য করেছে সে। এই বিষয়গুলি প্রকাশ্যে আসার পরই কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করেছেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরি। সরাসরি প্রশ্ন তুলেছেন, ধৃত DSP দেবেন্দ্র সিং যদি শিখ না হয়ে মুসলিম হত তা হলে কী হত? একটি টুইটে বহরমপুরের সাংসদ লেখেন, “দাভিন্দর যদি সিং না হয়ে খান হতো! তাহলে আরএসএস মুসলিমদের বিরোধিতায় নেমে পড়ত। কিন্তু আমি মনে করি সন্ত্রাসের কোনও ধর্ম হয় না।” আমাদের দেশের শত্রুদের শরীরের রং, বর্ণ এবং ধর্ম নির্বিশেষে নিন্দিত হওয়া উচিত।’ অধীরবাবুর সুরে একই দাবি করেছেন কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা।আর অধীরের এই মন্তব্যের পরেই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ধর্ম টেনে রাজনীতির অভিযোগ তুলল বিজেপি।বিজেপির অন্যতম মুখপাত্র সম্বিত পাত্র বলেন, “এটাই কংগ্রেসের চরিত্র। ওরাই আসলে সব কিছুতে ধর্মকে টেনে আনে। দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় এমন একটা সাংঘাতিক ঘটনা সামনে এসেছে।, ওরা সেটা নিয়েও হিন্দু-মুসলমান করছে।”
সৌজন্য:- আজ বাংলা