অধীর চৌধুরী দলীয় সভায় প্রকাশ্য বললেন” ভারত কারোও বাপের সম্পত্তি নয় ” , ‘হ্যাঁ আমি পাকিস্তানী, যান এবার যা করার করে নিন’!

Spread the love

ওয়েবডেস্ক:- কংগ্রেসের নেতারা নাকি পাকিস্তানের সুরে কথা বলেন। আক্রমণ শানাতে এহেন কটাক্ষ প্রায়শই করে থাকেন বিজেপি নেতারা। কিন্তু প্রথম কোনও কংগ্রেসি নেতা প্রকাশ্যেই বললেন, আমি পাকিস্তানি। তিনি কংগ্রেসের লোকসভা দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তাঁর সাফ কথা, যে বিজেপির লোকেরা আমায় পাকিস্তানি হিসেবে আখ্যা দেয় তাদের খোলাখুলি বলতে চাই, হ্যাঁ আমি পাকিস্তানী। কী করবেন আপনারা?

নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিতর্ক চলার মাঝেই এই বিস্ফোরক বয়ান দিয়ে শিরোনামে এসেছেন অধীর। তিনি বলেছেন, ‘আমি টুইট করার পর থেকে বিজেপি, আরএসএস ও কিছু সংবাদমাধ‍্যম আমাকে পাকিস্তানি আখ‍্যা দিয়েছে। আমি প্রকাশ্য জনসভায় বলছি, আমি অধীররঞ্জন চৌধুরী। আমি পাকিস্তানি। তোমাদের বিরুদ্ধে কথা বললেই তোমরা পাকিস্তানি তকমা লাগাও। আমাদের দেশে আজ কেউ সত্যি কথা বলতে পারছে না। কারণ সত্যি কথা বললেই আপনাকে দেশদ্রোহী আখ্যা দেওয়া হবে। এটা নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের বাপের দেশ নয়। ভারত কারোর বাপের সম্পত্তি নয়।’

বাদুড়িয়ার এক জনসভা থেকে মোদি ও অমিত শাহকে এই ভাবে প্রশ্ন করলেন অধীর। বসিরহাট মহকুমার বাদুড়িয়ার কংগ্রেস বিধায়ক আব্দুর রহিমের উদ্যোগে বাদুড়িয়ার চৌমাথা করাতকল মাঠে এনআরসি ও সিএএ-এর বিরুদ্ধে জনসভা করে কংগ্রেস। প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। এদিন তিনি আরও বলেন, বিজেপি ও আরএসএস ব্রিটিশের দালালি করেছিল। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল চালুর আগে বহু মানুষ বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে দেশে এসেছে। আমি বাংলাদেশ থেকে এদেশে এসেছি। তারপর সাংসদ হয়েছি, আমার নাগরিকত্ব কি নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ তোর বাবা দিয়েছে?

নরেন্দ্র মোদি তোর বাবা দিয়েছিল আমায় নাগরিকত্ব?: অধীর

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল, 2019 (CAA) নিয়ে নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহকে আক্রমণ করলেন লোকসভার কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরি ৷ তিনি বলেন, আমার বাবা-মা বাংলাদেশ থেকে এখানে এসেছিল ৷ তাহলে আমি কীভাবে ভোটে জিতে MP হয়ে গেলাম ? নরেন্দ্র মোদি তোর বাবা দিয়েছিল আমায় নাগরিকত্ব ? অমিত শাহ তোর বাবা দিয়েছিল নাগরিকত্ব?” আজ সন্ধ্যায় উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়ায় দলীয় সভা থেকে মোদি-শাহকে এভাবেই আক্রমণ করেন তিনি ৷

অসম প্রসঙ্গে তিনি বিজেপি সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ১৯লক্ষ মানুষকে উইপোকা মনে করছেন। দেশের সমস্ত মানুষকে কোথায় আগে রাখবেন বলুন, তারপর আইন তৈরি করুন। সংবিধান বিরোধী আইন মানুষ মানবে না। প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন ‘চা কুমার’, মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন ‘চপ কুমারী’। মোদী-মমতা বৈঠক নিয়ে কটাক্ষ করেন তিনি বলেন, রাজ্যের জন্য টাকা চাইতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাওয়া দরকার নেই। দিল্লির অর্থ ভবনে যাওয়া দরকার। মোদী প্রধানমন্ত্রী হলে দিদি লাল গোলাপ পাঠিয়েছিলেন। এখান শীতকালে পিঠে-পুলি ও রসগোল্লা দিল্লিতে পাঠান। দিল্লিতে বিরোধী দলের বৈঠক নিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনি চান না, তাই দিল্লির বৈঠকে আপনি যাননি।

সৌজন্য:- Mahanagar Desk news

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.