নিউজ ডেস্ক:- ৩ মে-র পরেও লকডাউন উঠবে না হটস্পট অঞ্চলগুলিতে। মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও বৈঠকে তেমনটাই ইঙ্গিত দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ! এদিনের বৈঠকে উপস্থিতি ন’জন মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে পাঁচজন জানান, লকডাউন তুলে নেওয়া উচিত। বাকিরা অবশ্য কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের কারণে লকডাউন বাড়ানোরই পক্ষে। সূত্রানুসারে, প্রধানমন্ত্রী সমস্ত রাজ্যগুলিকে বলেন লকডাউন তুলে নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করতে। তিনি প্রতিটি রাজ্যকে বলেন, রাজ্যের জেলাগুলিকে সংক্রমণের তীব্রতা অনুসারে রেড, গ্রিন ও অরেঞ্জ হিসেবে ভাগ করতে। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিহার, ওড়িশা, গুজরাত, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুঁদুচেরির মুখ্যমন্ত্রীরা এদিন উপস্থিত ছিলেন। উত্তর-পূর্বের রাজ্যের মধ্যে মেঘালয় ও মিজোরামও তাদের মতামত জানিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে এদিন উপস্থিত ছিলেন নয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এদের মধ্যে পাঁচ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী লকডাউন তোলার পক্ষে সওয়াল করেন। বাকি চার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয় লকডাউন রেখে দেওয়া পক্ষে ছিলেন, নয়তো কেন্দ্রের ওপরে সিদ্ধান্ত ছেড়ে দেন। তবে সূত্রের খবর, রেড অরেঞ্জ ও গ্রীন জোনের ওপর ভাগ করে লকডাউন জারি রাখা ও তুলে নেওয়ার দায়িত্ব রাজ্যগুলির ওপরেই ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ফলে যে এলাকায় সংক্রমণ রয়েছে সেখান থেকে লকডাউন উঠে যাওয়ার সম্ভাবনা এখনই দেখা যাচ্ছে না। সমস্ত গ্রীনজোনে আর্থিক লেনদেন সচল রাখার জন্য অফিস কাছারি ও দোকানপাট খোলা হবে। অরেঞ্জ জোনে কিছুটা ছাড় দিয়ে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালানো হতে পারে। তবে রেড জোনে সেসবের কোনো সম্ভাবনা নেই।
কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বৈঠকে উপস্থিত হননি। তিনি তাঁর মুক্য সচিবকে রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য পাঠিয়েছিলেন।
এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমাদের অর্থনীতি ভাল অবস্থায় রয়েছে।” সেই সঙ্গে তিনি ইঙ্গিত দেন দেশের বিভিন্ন প্রবল সংক্রমিত অঞ্চলে লকডাউন জারি থাকবে ৩ মে-র পরেও।
মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ওই ভিডিও বৈঠকে তিনি বলেন, ‘‘অর্থনীতি নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রিন ও অরেঞ্জ জোনগুলিতে অর্থনৈতিক সক্রিয়তা শুরু করা হবে। কিন্তু অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব মেনে ও মাস্ক পরার নিয়ম মানতে হবে।
করোনা ভাইরাসের প্রকোপ ও লকডাউন সত্ত্বেও দেশের অর্থনীতি মজবুত রয়েছে বলেই এ দিনের বৈঠকে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, অর্থনীতি নিয়ে চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। আমাদের অর্থনীতির অবস্থা ভালো রয়েছে। একই সঙ্গে বাকি মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে তার আবেদন, করুন আক্রান্ত রোগীদের কোথাও যেন অপরাধীর মতো করে না দেখা হয়। তারাও আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতোই, মনে করিয়ে দেন নরেন্দ্র মোদী।
সূত্রানুসারে, কেন্দ্রের কাছে আর্থির প্যাকেজের দাবি জানায় রাজ্যগুলি। যানবাহনের উপরে নিষেধাজ্ঞা এখনও জারি থাকবে। স্কুল-কলেজ আপাতত বন্ধই রাখা হবে। পাশাপাশি ধর্মীয় সমাবেশের উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে।
এখন দেখার কি ঘোষণা হয় আর্থিক প্যাকেজ আর লকডাউন কবে শেষ হয়।