নিউজ ডেস্ক ,অয়ন বাংলা:- হিন্দি বলয়ের উপর ভরসধ রাখ্তে না পেরে এখন বাংলার দিকে বাড়তি নজর বিজেপির। দিল্লি থেকে রাজ্যে উড়ে আসছেন একের পর এক কেন্দ্রীয় স্তরের নেতারা। কিন্তু রাজ্য বিজেপির সংগঠন যে এখনো পুরোপুরি তৈরী হয় নি তা যেন মাঝেমাঝে সামনে উঠে আসছে। রাজ্য বিজেপি চাইছে কেন্দ্রীয়স্তরের নেতাদের রাজ্যে এনে বাজিমাত করতে। আর দিল্লির বিজেপির নেতারা চাইছেন আগে বুথস্তরে সংগঠন পৌছে দিতে।তাতেই সাফল্য মিলবে। কিন্তু বিজেপির চিন্তা বাড়িয়েছে অনেক মিটিং মিছিলেই দেখা যাচ্ছে যে কেন্দ্রীয়স্তরের নেতারা বক্তব্য রাখতে এলেও মাঠ ভরানো যাচ্ছে না। অনেকেই কটাক্ষ করে বলছেন, এতো ‘ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার মতো অবস্থা’৷ মঙ্গলবার ঘাটালের বিদ্যাসাগর স্কুল ময়দানে ভারতী ঘোষের সমর্থনে করা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের সভায় জন সমাগম দেখে কটাক্ষের সুরে একথাই বলছেন বিজেপি বিরোধীরা৷ দলের সর্বভারতীয় সভাপতির জনসভা বলে কথা, তাই প্রচারে কোনও ত্রুটি রাখেনি জেলা বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব৷ কিন্তু তাতেও মাঠ ভরাতে ব্যর্থই হলেন তাঁরা৷ কার্যত ফাঁকা মাঠেই ভারী ভারী শব্দে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানালেন শাহ৷
জনাকয়েক সমর্থকের সামনেই এদিনের জনসভা থেকে ‘জয় শ্রীরাম’ বিতর্কে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শানান অমিত শাহ৷ অভিযোগ করেন, ‘জয় শ্রীরাম’ বললে এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অসন্তুষ্ট হচ্ছেন৷ উনি ভারতের সংস্কৃতি ভুলে গিয়েছেন৷ কিন্তু বিজেপি সমর্থকদের ভারতের সংস্কৃতি থেকে দূরে রাখা যাবে না৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে রুখতে পারবেন না৷ হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, ২৩ তারিখ বাংলায় ২৩টা আসন পাবে বিজেপি৷ এরপর বাংলা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে উৎখাত করা হবে৷ বাংলায় পরিবর্তন আসবেই৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আর থাকবে না৷যে মাঠে মোটামুটি পঞ্চাশ হাজার মানুষ একসঙ্গে স্থান পেতে পারেন৷ সেই মাঠে খুব বেশি হলে এক থেকে দেড় হাজার কর্মী-সমর্থক নিয়ে জনসভা করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি৷ সাফাই দিলেন, সভায় আগত বহু সমর্থককে বলপূর্বক আটকেছে তৃণমূল৷ হুঁশিয়ারির সুরে বললেন, এখানে রাজ্যে বিজেপিকে থামান যাবে না৷ তবে ফাঁকা মাঠে অমিত শাহের সভা দেখে তৃণমূলের কটাক্ষ, মানুষ ওদের থেকে মুখ ফিরিয়েছে। তাই দিল্লির নেতারা রাজ্যে আসলেও বিজেপির সভায় মানুষ যাচ্ছে না।