নিউজ ডেস্ক :- অমিত শাহ বাংলায় এলেন গেলেন মতুয়া পাড়ায় ঠাকুর নগরেে , বললেন CAA আলনে সংখ্যালঘুদের কোন ভয় নেই । জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বলবৎ করা নিয়ে আশ্বাসবাণী শোনালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মতুয়া অধ্যুষিত ঠাকুরনগরে দাঁড়িয়ে তিনি বললেন, ‘টিকাকরণ শেষেই নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ হবে।’ প্রতিশ্রুতি দিলেন, BJP কে ক্ষমতায় আনলে ‘মুখ্যমন্ত্রী শরনার্থী কল্যাণ যোজনা’ শুরু করাও। যার মাধ্যমে শরনার্থীদের শিক্ষা, স্বাস্থ্যর দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হবে। ঠাকুরনগর স্টেশনের নাম বদলে ‘শ্রীধাম ঠাকুরনগর’ রাখতে চান বলেও প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি মতুয়া সমাজের জন্য আরও একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতির কথা শুনিয়েছেন নরেন্দ্র মোদীর প্রধান সেনাপতি।
এদিন নাগরিকত্ব আইন নিয়ে অমিত শাহ কী বলেন, সে দিকে মুখিয়ে ছিলেন সকলেই। তা নিজেই স্বীকার করে তিনি বলেছেন, ‘আমি জানি CAA নিয়ে আমি কী বলব তা জানতে তৃণমূল, সংবাদমাধ্যম মুখিয়ে রয়েছে।’
এর কিছুক্ষণ পরে তিনি বলেছেন, ‘আমি একটা কথা বলতে চাই, একবার আপনারা BJP কে জেতান, আমরা বাংলাকে সোনার বাংলা করে দেব। বাংলাদেশ থেকে শরনার্থী হিসেবে বহু মানুষ এখানে এসেছেন। ৭০ বছরের উপরে হয়ে গিয়েছে কেউ নাগরিকত্বও দেয়নি, সম্মানও দেয়নি। ২০১৮ সালে আমরা নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা দিয়েছিলাম। আমরা সেই প্রতিশ্রুতি রেখেছি। ২০১৯ সালে আপনারা পদ্ম ফুঁটিয়েছেন। দেরি না করে ২০২০ সালেই আইন পাশ করা হয়। মাঝে করোনা আসায় দেরি হয়।’
মুখ্য়মন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনি যাই প্রচার করুন, আমরা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, সেটা করবই। এই পবিত্রভূমিতে দাঁড়িয়ে বলে যাচ্ছি, টিকাকরণের কাজ শেষ হলেই, করোনার থেকে মুক্তি পেলেই, আপনাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ হবে। দেশের সংসদে পাশ হওয়া আইন, আপনি কী করে আটকাবেন? আর আপনি তো আর মুখ্যমন্ত্রীও থাকবেন না।’ সংখ্যালঘু সমাজকে আশ্বস্থ করে তিনি বলেছেন, ‘CAA হলে মুসলিমদের নাগরিকত্ব চলে যাবে এমন কোনও বিষয়ও নেই। ওঁদের ভুল বোঝানো হচ্ছে। শরনার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য়।’