রাতারাতি কোটিপতি কান্দীর এক গৃহবধূ

Spread the love

নিজস্ব সংবাদদাতা ,কান্দী :-  ট্রেনে বাসে রাস্তা ঘাটে ফুটপাথে লটারীর রমরমা । কেই হচ্ছেন কোটি পতি আবার কেউ হচ্ছেন লটারী কেটে ভিখারী । যো জিতা ওহি সিকান্দার ।  বহুদিনের কোটিপতি হবার ইচ্ছা পূরণ হল এক গৃহবধুর। দেড়শ টাকার ২৫ সেমের এক ঘর লটারি টিকিট কেটে পেয়ে গেলেন এক কোটি টাকা। রাতারাতি গরিব থেকে আমির হয়ে যাওয়া বধুকে নিয়ে গর্বিত এবং আনন্দিত এলাকার বাসিন্দারা ।বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে মুর্শিদাবাদের কান্দি শহরের তারামা তলা এলাকায়। যদিও লটারি প্রাপক গৃহবধূ গৌরী বিস্তার জানিয়েছেন, ওই টাকা দিয়ে ধার দেনা শোধ করার পাশাপাশি ছোট মেয়ের বিয়ে দেওয়া এবং পাকা ঘর করার স্বপ্ন পূরণ হবে। স্বামীকে আর কান্দি বাজারে ডাব বিক্রি করতে দেবেন না ।অপরদিকে মা এক কোটি টাকার লটারিতে পাওয়ায় নানা স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে ছেলেমেয়েরা। যদিও বধূর স্বামী শ্রীদাম বিস্তার জানিয়েছেন, আমার স্ত্রী গত ১০ বছর ধরে মাঝেমধ্যেই টিকিট কাটতো ।এই নিয়ে আমাদের মধ্যেও পারিবারিক অশান্তি হত ।ছেলেমেয়েরা লটারি টিকিট কাটা একদমই পছন্দ করত না। বাড়িতে মা মনসার থান রয়েছে। আমার স্ত্রীর পুজো আচ্ছা করে যা ইনকাম হতো তার বেশিরভাগই লটারি টিকিট কাটত। টিকিট কাটা নেশায় পরিণত হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সারাদিন পুজো করার পর রাত্রিবেলা শেষ খেলার একঘর টিকিট কেটে আনে দেড়শ টাকা দিয়ে বাণী সংঘের মাঠে বসা এক লটারি বিক্রেতার কাছে। রাত্রি দশটা নাগাদ আমাদের কাছে ফোন আসে এক কোটি টাকা পুরস্কার লেগেছে আপনার টিকিটে ।আমরা প্রথমত ভাবতেই পারিনি ।মনে করেছিলাম কেউ হয়তো ইয়ার্কি মারছে। পরে মোবাইলে টিকিটের নাম্বার মিলিয়ে দেখি কেউ ইয়ার্কি মারে নি সত্যি সত্যি আমাদের স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত হয়েছে ।অপরদিকে শুক্রবার সকাল থেকেই ২৫ সেমের লটারি কেটে এক কোটি টাকা প্রাপক গৌরী বিস্তার কে দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন এলাকার বাসিন্দারা ।তবে সকলেই খুশি ওই দুস্ত পরিবার কোটি টাকা পুরস্কার হিসাবে পাওয়ায়। অপরদিকে লটারি প্রাপক গৌরী বিত্তার জানিয়েছেন, আমি বহুদিন ধরে স্বপ্ন দেখতাম লটারিতে প্রচুর টাকা পেয়েছি। কিন্তু বাস্তবে সেই স্বপ্ন পূরণ হলো ।এই টাকা দিয়ে আমাদের পরিবারের যা ধারদেনা রয়েছে সব শোধ করব। পাশাপাশি পাকা ঘর হবে ।দুই ছেলে দুই মেয়ে রয়েছে আমার ছেলেদের কিছু করে দেবো যাতে ওরা করে খেতে পারে। এক মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে ছোট মেয়ের বিয়ে এই টাকাতেই দেব ।এইরকমই ইচ্ছা রয়েছে। কিছু টাকা দিয়ে মনসার মন্দির ।হবে স্বামীকে আর নারকেল গাছে উঠতে দেব না। ব্যবসা বন্ধ ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.