মোদির জমানায় আবার ৫ হাজার কোটি ঋণ নিয়ে ফেরার গুজরাটের ব্যবসায়ী,

Spread the love

নিউজ ডেস্ক:- আবার এক গুজরাটী পাঁচ হাজার কোটি টাকা ব্যাঙ্ক থেকে সাফ করল। বিজয় মালিয়া, ললিত মোদি, নীরব মোদি, মেহুল চোকসির পর এবার সামনে এল মোদি জমানার নয়া ব্যাংক জালিয়াতি। ৫ হাজার কোটি টাকার ঋণখেলাপির অভিযোগ উঠল গুজরাটের ব্যাবসায়ী নীতীন সনদেসারা এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। গুজরাটের ভদোদারার স্টারলিং বায়োটেক নামে একটি সংস্থার মাধ্যমে ৫ হাজার কোটির জালিয়াতি করার অভিযোগ রয়েছে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সনদেসারা ইতিমধ্যেই ইডি এবং সিবিআইয়ের ওয়ান্টেডের তালিকায় আছেন।

সিবিআইয়ের তরফে স্টারলিং বায়োটেকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে, ওই সংস্থার ডিরেক্টর নীতীন সনদেসারা, চেতন সনদেসারা, দীপ্তিবেন সনদেসারা, রাজভূষণ ওমপ্রকাশ দীক্ষিত, বিলাস যোশী, হেমন্ত হাথি এবং অনুপ গার্গের বিরুদ্ধে। এদের মধ্যে গার্গকে গ্রেপ্তার করা গিয়েছে। কিন্তু মূল তিন অভিযুক্ত ইতিমধ্যেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে। এই সংস্থাটি মোট ৩০০টি শাখা এবং বেনামি সংস্থা খুলে মোট ৫ হাজার টাকার প্রতারণা করেছে বলে অভিযোগ। কোম্পানির বার্ষিক হিসেবেও ইচ্ছেমতো গড়মিল করা হয়েছে। গুজরাট সরকারের নাকের ডগায় এত কিছু হয়েছে তা অথচ প্রশাসনের আধিকারিকরা তা টের পাননি, মানতে নারাজ বিরোধীরা। তারা বলছেন, এর সঙ্গে সরকারের সরাসরি যোগ রয়েছে।

রবিবার খবর ছড়িয়ে পড়ে নীতীন সনদেসারা এবং তাঁর ভাই চেতন সনদেসারা, ভাইয়ের বউ দীপ্তিবেন সনদেসারা সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে ধরা পড়েছেন। সেই মতো ভারতের তরফে ওই ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করার জন্য ভারতের তরফে আমিরশাহীর কাছে আবেদন করারও প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছিলেন ভারতীয় আধিকারিকরা। কিন্তু, এরই মধ্যে জানা যায় সনদেসারাদের আমিরশাহিতে ধরা পড়েননি। নাইজেরিয়ায় পালিয়ে গিয়েছেন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে নাইজেরিয়ার সঙ্গে ভারতের কোনও প্রত্যার্পণ চুক্তি নেই। তাই এই ফেরার ব্যবসায়ীদের দেশে ফেরানো বেশ কঠিন কাজ হবে । একের পর এক ব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগে এমনিতেই চাপে মোদি সরকার। এর মধ্যে আবার নতুন অভিযোগ, তাও মোদির নিজের রাজ্যের ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। নতুন অভিযোগ রীতিমতো মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠতে পারে কেন্দ্রের কাছে।

সৌজন্য:-সংবাদ প্রতিদিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.