ওয়েব ডেস্ক:- দিল্লীতে বিজেপি নেতার গুলি মারো স্লোগান দিলীপ ঘোষের গুলি করে মারা উচিত লাগাতার বিজেপির নেতাদের উবাচ ,বাংলা সহ গোটা দেশে গুলি বোমা বারুদের খলা শুরু হয়েছে। এ বার বাংলায় বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অপরাধে গ্ৰেফতার হুগলি জেলার বিজেপির মণ্ডল সভাপতি-সহ চারজন। বর্ধমানের জামালপুর থানা এদের গ্ৰেফতার করে। ধৃতরা সবাই হুগলির ধনিয়াখালি থানার বাসিন্দা। ধৃতদের আজ বর্ধমান আদালতে তোলা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাস্তায় চেকিংয়ের সময় জামালপুর জৌগ্ৰামে মহিষগোরিয়া এলাকায় একটি গাড়িকে দেখে সন্দেহ হয়। গাড়িটি আটকে চারজনকে গ্ৰেফতার করা হয়। দু’জন পালিয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের কাছ থেকে একটি বন্দুক, তিন রাউন্ড গুলি, তির-ধনুক, সোডার বোতল, চারটে বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। কী কারণে তারা সেখানে জড়ো হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ধৃত বিজেপি নেতা আশিস দাস হুগলির জেড পি ২৯ বি-র মণ্ডল সভাপতি। তার সঙ্গে ধৃত অন্য তিনজন বিজেপি কর্মী বলেই জানা গেছে। ধৃত বিজেপি নেতা আশিস দাস অবশ্য জানিয়েছে, তার কাছে কোনও আগ্নেয়াস্ত্র ছিল না। অন্য তিনজনের মধ্যে একজন বাপন মালিকের কাছ থেকে সব কিছু পাওয়া গেছে।
বিজেপির মণ্ডল সভাপতি গ্ৰেফতারের ঘটনায় হুগলিতে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। ধনিয়াখালির বিধায়ক অসীমা পাত্র জানান, বিজেপি’র ওপর তলার নেতারা কর্মীদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র তুলে দিচ্ছেন এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করার জন্য। বন্দুক, বোমা দিয়ে মানুষের মনে আতঙ্ক তৈরি করাই এদের কাজ। এটাই বিজেপির কালচার।
অন্যদিকে, বিজেপি’র হুগলি সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি মধুসূদন দাস বলেন, যাকে গ্ৰেপ্তার করা হয়েছে সে অত্যন্ত লড়াকু ছেলে। মিথ্যা কেস দিয়ে তাকে গ্ৰেফতার করা হয়েছে। অস্ত্র, গাঁজা তো এখন পাওয়া যায়, তাই কেস দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে পাল্টা মধুসূদনবাবু তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর দাবি, বিধায়ক অসীমা পাত্রের সন্ত্রাসে ধনিয়াখালির অনেক মানুষ ঘরছাড়া।
এখন চলছে রাজনৈতিক চাপান উতর ,মিথ্যা কেশ ,মিথ্যাচার ,অসত্য কথা কে সত্য বলে চালিয়ে দেওয়া,ফল ভোগ করছে কষ্ট পাচ্ছে শুধুই আম জনতা ।