EVM -র হারের পর ব্যালটে কর্নাটকের পুর নির্বাচনে বড় জয় কংগ্রেসের
অয়ন বাংলা, ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে বড় জয় পেয়েছে বিজেপি। কর্নাটকে ২৮ আসনের মধ্যে ২৫টি গিয়েছে বিজেপি দখলে।শহরাঞ্চলের স্থানীয় নির্বাচনে উলটো ফল। বিজেপিকে অনেকটা পিছনে ফেল বড়সড় জয় পেল জাতীয় কংগ্রেস। অধিকাংশ পুরসভা, শহর পঞ্চায়েত এবং টাউন কাউন্সিল দখল করল কংগ্রেস-জেডিএস জোট কর্ণাটকের বিভিন্ন স্তরের পুরসভার মোট ১,৩৬১ আসনে নির্বাচন হয়েছিল। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এই আসনগুলির মধ্যে প্রায় ৪২ শতাংশ গিয়েছে কংগ্রেসের দখলে। হাত শিবির দখল করেছে ৫০৯টি আসন। অনেকটা পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে বিজেপির দখলে ৩৬৬টি ওয়ার্ড। অন্যদিকে, জেডিএসের দখলে ১৭৪টি ওয়ার্ড। ১৬০টি আসনে কংগ্রেস-জেডিএস। তবে, বোর্ড গঠনের ক্ষেত্রে ফের জোট বাঁধছে এই দুই দল। স্থানীয় সূত্রের খবর, মোট ৮ টি শহর মিউনিসিপ্যালিটির মধ্যে ৫টি যাচ্ছে কংগ্রেস-জেডিএসের দখলে, একটি বিজেপির দখলে, দু’টি নির্ভর করছে নির্দল প্রার্থীদের সমর্থনের উপর। ছোট শহরের পুরসভাগুলির মধ্যে ২০টি গিয়েছে কংগ্রেস-জেডিএস জোটের দখলে। অন্যদিকে বিজেপির দখলে মাত্র ৫টি। শহর পঞ্চায়েতের মধ্যে বিজেপি আটটি জিতেছে, জোট জিতেছে ৭টি।লোকসভা নির্বাচনের পর কর্ণাটকে জোট সরকারের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। গেরুয়া শিবিরের তরফে সরকারকে নড়বড়ে করার চেষ্টাও করা হয়। কিন্তু, এরই মধ্যে পুর নির্বাচনের এই আশাতীত ফল জোট শিবিরকে চাঙ্গা করেছে। কর্ণাটক প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি দীনেশ গুণ্ডুরাও-ও সেকথাই বলছেন। তিনি টুইটে জানান, লোকসভার ফলপ্রকাশের পর কর্মীরা মুষড়ে পড়েছিল। কিন্তু এই ফলাফল তাদের চাঙ্গা করবে।” একই সঙ্গে, পুর নির্বাচনের ফল হাতে পাওয়ার পর ফের ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। দীনেশ বলেন এই ফলাফল অনেকটা অপ্রত্যাশিত। কারণ কদিন আগেই লোকসভায় ৫১ শতাংশ ভোট পেয়েছিল বিজেপি। আজকের ফলাফলের বিরোধীদের অভিযোগ সংবাদমাধ্যমে ইভিএম নিয়ে যে প্রশ্নগুলি উঠছিল সেসব নিয়ে ভাবার সময় এসেছে