নিউজ ডেস্ক :- অবস্থা খারাপ হলে তৃণমূলের সঙ্গে সরকার গড়তে হাত বাড়াবে কংগ্রেস। বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা আবু হাসেম খান চৌধুরীর বক্তব্য জল্পনা তুঙ্গে। ভোট-পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি তেমন দাঁড়ালে কংগ্রেস তৃণমূলকে সমর্থন করবে।
বর্ষীয়ান নেতার এই মন্তব্যে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন জল্পনা তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি ভোট পরবর্তী পরিস্থিতিতে সংযুক্ত মোর্চার সঙ্গ ছেড়ে তৃণমূলকে সমর্থন করতে প্রস্তুত কংগ্রেস ডালুবাবু যতই নিজের বক্তব্যকে একান্তই ব্যক্তিগত মত বলে দাবি করুন না কেন, রাজনৈতিক মহলে কিন্তু জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে। বস্তুত, বাংলায় তৃণমূল-বিজেপি লড়াইয়ের মধ্যে বামফ্রন্ট এবং আব্বাস সিদ্দিকির আইএসএফকে সঙ্গে নিয়ে সংযুক্ত ফ্রন্ট তৈরি করেছে কংগ্রেস। এই মুহূর্তে এই সংযুক্ত মোর্চা তৃণমূল এবং বিজেপি দুই শিবিরের থেকেই সমান দূরত্ব বজায় রাখছে। ভোটের পর ত্রিশঙ্কু বিধানসভা হলে, সংযুক্ত মোর্চা তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে কাকে সমর্থন করবে, তা নিয়েও মুখে কুলুপ এটেছেন জোট নেতারা। এর মধ্যেই ডালুবাবুর বক্তব্য নতুন জল্পনার জন্ম দিল।
মালদা দক্ষিণের সাংসদ তথা জেলা সভাপতির এহেন মন্তব্য তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে রাজ্য রাজনীতিতে। তৃণমূল কংগ্রেস বারবার দাবি করছেন তৃতীয়বারের জন্য সরকার গড়তে ২৫০-আসন পেয়ে ক্ষমতায় ফিরবে। কিন্তু জোটের দাবি এবার সরকার তারাই গড়বে। কিন্তু মালদায় কংগ্রেসের সুর অন্য। যার ফলে বিপাকে পড়েছেন জোটের কারিগর অধীর-মান্নানরা।
প্রার্থী ঘোষণা হলেও মালদা জেলায় নতুন করে জট তৈরি হয়েছে জোটে। জেলায় সিপিএমের শরিক দলকে একটিও আসন না ছাড়ায়, নিজেদের প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফরওয়ার্ড ব্লক ও আরএসপি। মালদায় মোট বিধানসভা কেন্দ্র ১২টি। যার মধ্যে কংগ্রেস ৯টি ও সিপিএম ৩টি আসনে লড়বে বলে সর্বসম্মতিতে আগেই ঘোষণা করেছে সংযুক্ত মোর্চা। কিন্তু ফরওয়ার্ড ব্লকের তরফে আবার দাবি করা হয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর, চাঁচল ও মানিকচকে তারা প্রার্থী দেবে। মালতিপুরে প্রার্থী দেওয়ার কথা বলছে আরএসপি। এইভাবে দুই বাম শরিক নিজেদের মতো করে প্রার্থী দিলে মালদা জেলায় কংগ্রেসের সঙ্গে চারটি আসনে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই হতে চলেছে তাদের।
গত বিধানসভা ভোটেও হরিশ্চন্দ্রপুর ও মালতিপুরে চতুর্মুখী লড়াই হয়। তবে দুটি আসনেই শেষপর্যন্ত জিতেছিল কংগ্রেস। তাই সেই আসন কোনওমতেই হাতছাড়া করতে চাইছে না কংগ্রেস। আর বাম শরিকদের এই দাবির জেরে তৃণমূলের পাশে থাকার মন্তব্য করেছেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা আবু হাসেম খান ওরফে ডালু।