ওয়েব ডেস্ক:- ডাঃ কাফিল খান কে জেলের মধ্যে মানসোক নির্যাতন অনিয়মিত খাবার দেবার অভিযোগ ।কফিল খানের স্ত্রীর অভিযোগ ,উনাকে খুন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ফের একবার বিতর্কের মুখে পড়তে চলেছে উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার। সিএএ এবং এনআরসি বিরোধিতায় শামিল থাকার অপরাধে ডাঃ কাফিল খানকে গ্রেফতার করে উত্তরপ্রদেশ সরকার। তাঁর স্ত্রীর অভিযোগ, মথুরা জেলে বন্দি অবস্থায় ডাক্তার কাফিল খানের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে পুলিশ। তাঁর বক্তব্য, টানা পাঁচদিন তাঁকে অনাহারে রাখা হয়েছে। এর মাঝেই, ২৩ ফেব্রুয়ারি তাঁর মামাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তাঁর স্ত্রী মনে করেন, তাঁর স্বামীরও প্রাণসংশয়ের ভয় আছে।
প্রসঙ্গত ২০১৭-র ১০ অগস্ট উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর বিআরডি মেডিক্যাল কলেজে অক্সিজেনের অভাবে যখন শিশুরা মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছিল তখন শিশু বিশেষজ্ঞ কফিল খান ও তাঁর সহকারীরা মিলে তিনদিনের চেষ্টায় ৫০০ অক্সিজেন সিলিন্ডার জোগাড় করে বহু শিশুর প্রাণ বাঁচান। উত্তরপ্রদেশ সরকার নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে সেই ডাক্তারকেই গ্রেফতার করে। দীর্ঘ ৯ মাসের জন্য কারাবন্দি করে রাখা হয় তাঁকে।
বর্তমানে সারা দেশ জুড়ে যখন এনআরসি এবং সিএএ নিয়ে প্রতিবাদে মানুষ পথে নেমেছেন তখন তিনিও বিভিন্ন সভা-সমাবেশ করে প্রতিবাদ জানান। তারপর তাকে দেশদ্রোহিতার কারণে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডাঃ কাফিল খানের মুক্তি এবং ন্যায় বিচারের দাবিতে এই রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল সংগঠন সোচ্চার হয়েছে। মেডিক্যাল সার্ভিস সেন্টারের, কলকাতা জেলা কমিটির পক্ষে সম্পাদক ডাঃ বিপ্লব চন্দ্র বলেছেন, আমরা ডাঃ কফিল খানের গ্রেফতারের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছি। বিভিন্ন সভা-সমাবেশের মধ্য দিয়ে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে। অবিলম্বে তাঁর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করছি।