ওয়েব ডেস্ক :- “প্রশান্ত কিশোরের গেম প্ল্যানে বিজেপি কুপোকাত। গত কয়েক মাস ধরে সম্পূর্ণ পরিকল্পনা করে অনেক তৃণমূল নেতাকে বিজেপিতে গুপ্তচর হিসাবে ঢোকানো হয়েছে।” ফেসবুকে এমনই মন্তব্য করলেন সংযুক্ত মোর্চার রায়দিঘির সিপিএম প্রার্থী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। সোমবার নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে এই পোস্টটি করেছেন প্রাক্তন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী।
সোমবারের এই পোস্টে কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় লেখেন, “প্রশান্ত কিশোরের গেম প্ল্যানেই বিজেপি কুপোকাত। গত কয়েকমাস ধরে সম্পূর্ণ পরিকল্পনা করে অনেক তৃণমূল নেতাকে বিজেপিতে গুপ্তচর হিসেবে ঢোকানো হয়েছে। এরমধ্যে প্রায় নব্বইভাগ বিজেপির টিকিটও পেয়ে গেছে। এরা যদি জিতে আসে তাহলে আবার ঝাঁকের কই হিসাবে মাননীয়া দিদির হাত ধরবে।” এরপরই আবার সিপিএম প্রার্থী (CPM Candidate) লেখেন, “হায়রে মাথামোটা, মাথায় গোবর পোরা বিজেপির নেতারা, প্রশান্ত কিশোরের এই গেম প্ল্যানটা আপনারা ধরতে পারলেন না? নাকি সেটাও সেটিং?”
অভিযোগ সিপিএম নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের । এ দিন তিনি নিজের ফেসবুকে দাবি করেছেন, তৃণমূল থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে নেতারা যে বিজেপিতে যাচ্ছেন, সেটা আসলে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরে একটা ‘গেম প্ল্যান’। তাঁরা নির্বাচনে জিতে এলে আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতই ধরবেন।
নিজের ফেসবুকে এ দিন কান্তি লেখেন, “প্রশান্ত কিশোরের গেম প্ল্যানে বিজেপি কুপোকাত। গত কয়েক মাস ধরে সম্পূর্ণ পরিকল্পনা করে অনেক তৃণমূল নেতাকে বিজেপিতে গুপ্তচর হিসাবে ঢোকান হয়েছে। এরমধ্যে প্রায় ৯০ ভাগ বিজেপির টিকিট-ও পেয়ে গেছে। এরা যদি জিতে আসে তাহলে আবার ঝাঁকের কই হিসাবে মাননীয়া দিদির হাত ধরবে। হায়রে মাথামোটা, মাথায় গোবর পোরা বিজেপির নেতারা প্রশান্ত কিশোরের এই গেম প্ল্যনটা আপনারা ধরতে পারলেন না? নাকি সেটাও সেটিং?”
কান্তির এই অভিযোগের নিশানায় অন্যান্য দলবদলু তৃণমূলের নেতারা তো রয়েইছেন, তবে রায়দিঘীতে যে ব্যক্তিকে বিজেপি প্রার্থী করেছে, সেই শান্তনু বাপুলিই মূলত তাঁর নিশানার কেন্দ্রে। কারোর নাম না করলেও দু’দিন আগেই তৃণমূল থেকে বিজেপিতে গিয়ে শান্তনু বাপুলি রায়দিঘীর টিকিট পেয়ে যাওয়ায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে বিজেপি কর্মীদের মধ্যেও। কান্তির এই ফেসবুস পোস্ট কার্যত সেই ক্ষোভেই ঘৃতাহুতি দিয়েছে।
শান্তনু বাপুলি যদিও এর প্রেক্ষিতে পালটা খোঁচা দিয়ে বলেন, “ওনার বয়স হয়েছে। এখন রাজনীতি থেকে সরে যাওয়ার সময় হয়েছে। এসব না বললেও পারেন।” প্রার্থী তালিকা প্রকাশ পাওয়ার পর কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ নিয়ে তাঁর ব্যাখ্যা, এখন আর কোনও ভুল বোঝাবুঝি নেই। ইতিমধ্যেই ১৭ টি পঞ্চায়েত এলাকার মধ্যে ১৪ টি এলাকার কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকও করে ফেলেছেন তিনি।
তবে শুধু রায়দিঘীর বিজেপি প্রার্থীকে কেন্দ্র করে নয়। সেখানকার তৃণমূল কর্মীদের মধ্যেও দলীয় প্রার্থীকে নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। জেলা পরিষদের সদস্য অলোক জলদাতাকে সেখানে প্রার্থী করেছে শাসকদল। কিন্তু, আমপান ঘূর্ণিঝড়ের সময় তাঁকেও মানুষের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়দের। গত দু’বারের তৃণমূল বিধায়ক দেবশ্রী রায়ের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ ছিল স্থানীয়দের।