করোনা মোকাবিলায় মুর্শিদাবাদের ত্রাতা হয়ে হয়ে প্রখ্যাত গায়ক অরিজিৎ সিং
জৈদুল সেখ, বহরমপুর :- মুর্শিদাবাদের ছেলে সম্প্রতি মাকে হারিয়েছেন অরিজিৎ সিং। বলি থেকে টলির জনপ্রিয় গায়ক তিনি। করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন তাঁর মা। সেরে যাওয়ার পরে ব্রেন স্ট্রোক, ভেন্টিলেশন, একমো সাপোর্ট তবুও পারেননি মাকে বাঁচাতে। মাকে হারানোর যন্ত্রণা বুকে নিয়েই মুর্শিদাবাদের মানুষের পাশে দাঁড়ালেন অরিজিৎ।
শ্বাসের সংকটে কাটাতে জেলার পাশে গায়ক অরিজিৎ সিং। কোভিড মোকাবিলায় জেলার জন্য। দশটি হাই ফ্লো নজাল অক্সিজেন (High Flow Nasal Oxygen) মেশিন দিচ্ছেন জিয়াগঞ্জের ভূমিপুত্র অরিজিৎ সিং। শনিবার ধৃতি ফাউন্ডেশন নামের এক সংস্থার মাধ্যমে ৫ টি এইচএফএনও মেশিন জেলার স্বাস্থ্য আধিকারকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আরো ৫ টি এইএচএফএনও মেশিন সরকারের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানান সংস্থার প্রতিনিধি সুমন দাস ।
উল্লেখ্য কিছুদিন আগেই মাতৃবিয়োগ হয় গায়কের। করোনার প্রথম পর্ব থেকেই জেলার দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রখ্যাত গায়ক।
কী কাজে লাগে এই এইচএফএনও (HFNO) যন্ত্র ? এই যন্ত্রের সাহায্যে দ্রুত রোগীর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা স্বাভাবিক করে ফেলা সম্ভব হয়।
হাই ফ্লো নজাল অক্সিজেন মেশিন বা এইচএফএনও মেশিনের অভাব দেখা যাচ্ছিল জেলায়। এই যন্ত্র সংকটেথাকা রোগীদের কাজে লাগবে বলে জানান চিকিৎসকরা।
গায়কের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন মুর্শিদাবাদের সিএমওএইচ ডাঃ প্রশান্ত বিশ্বাস। তিনি জানান, জেলায় পর্যাপ্ত নেই এই মেশিন, নতুন পাওয়া মেশিনের সাহায্যে আরো বেশি মানুষকে চিকিৎসা দেওয়া যাবে।
উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন চিকিৎসক ডাঃ অমরেন্দ্রনাথ রায়ও । মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের কোভিড ইউনিট এবং জিয়াগঞ্জের লন্ডন মিশন হাসপাতালে কাজে লাগানো হবে যন্ত্রগুলি।
করোনার আসার পরথেকেই বিভিন্নভাবে সমাজের জন্য কাজ করে আসছেন অরিজিৎ সিং। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসার পরও একইভাবে কাজ করে চলেছেন তিনি। তবে অরিজিৎ প্রচার থেকে বরাবর দূরে থাকতে পছন্দ করেন। মুর্শিদাবাদের গর্ব অরিজিৎ সবসময়ই গ্রামের মানুষের সঙ্গে থেকেছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে অতিমারিতে মুর্শিদাবাদের করোনা চিকিৎসায় অরিজিতের এই দান অত্যন্ত কার্যকরী এবং চিকিৎসাক্ষেত্রে একধাপ এগিয়ে যাওয়া। এই মুহুর্তে আশার আলো দেখছেন মুর্শিদাবাদবাসীরা।