পূর্বাভাষ ভ্রাম্যমান সাহিত্য আড্ডা
::আনিসুর রহমান ::
শহরের ঝা চকচকে অডিটোরিয়াম ,আলোর ঝলকানি
ক্যামেরার সামনে পোজ
এদিকে না -না ওদিকে ক্যামেরার ফ্লাশের ঝলক ।
সাহিত্য সভা ,শুধুই কৃত্তিমতা ,বড় সম্মাননা,টাকা দিয়ে কেনা ।
গ্রামের মেঠোপথ ,তালগাছের সারি বাবুইয়ের বাসা
বড় পুকরের বাঁধানো ঘাট গলিপথের শেষে ভাঙাবাড়ীর দোতলায় “পূর্বাভাষ ভ্রাম্যমান সাহিত্য আড্ডা” !
মধ্যমনি আবুল কালাম।
মাসের মাস পেরিয়ে বছর,
আরো একটা বছর “পূর্বাভাষ ভ্রাম্যমান সাহিত্য আড্ডা”,দশক পেরিয়ে শতকে।
কবিতা ছোটগল্প প্রবন্ধ,মাঝে মাঝে আড্ডা ,তর্ক ,পত্রিকা প্রকাশ
“পূর্বাভাষ ভ্রাম্যমান সাহিত্য আড্ডা”।
আজোও কোকিলের ডাক ,মেঠো পথ,গ্রাম শহর ছাড়িয়ে জেলার পর জেলায় “পূর্বাভাষ ভ্রাম্যমান সাহিত্য আড্ডা”!
গ্রামের চাষী মেঠো কবি,কোন এক আদিবাসী কবি,অধীর আগ্রহ কখন স্বরচিত কবিতা পাঠে আমার সময়।
কাঁচ পাকা হাতের লিখা , আলোচনা সমালোচনা,এগিয়ে চলেছে পাঠের আসর ,দেশ বিদেশের সাহিত্যের চুল চেরা বিশ্লেষণ ,কারোও বাড়ীর উঠোন ,স্কুলের বারান্দা,ক্লাব ঘর,মাইকের আওয়াজ ,আজ তিন শততম “পূর্বাভাষ ভ্রাম্যমান সাহিত্য আড্ডা” ,আড্ডাধিপতি
এক অচেনা কবি।
এক অচেনা শিল্পীর পটে আঁকা মাঠ প্রান্তরে বাবুই এর বাসার মাঝে “পূর্বাভাষ ভ্রাম্যমান আড্ডা”
মধ্যমনি আবুল কালাম।