ওয়েব ডেস্ক:- এ কেমন বাংলা,এ কেমনতর স্লোগান ,এরা যে বাংলার কলঙ্ক। রবিবার কলকাতায় প্রকাশ্য রাজপথে বিজেপি সমর্থকদের ‘গোলি মারো’ ধ্বনিকে কেন্দ্র করে বিরোধী রাজনীতিকদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। যারা ‘গোলী মারো’ স্লোগান দিল তাদেরকে মমতার পুলিশ জামাই আদর করে শহিদ মিনারে পৌঁছে দিল, এমনটাই অভিযোগ মন্তব্য করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। রবিবার তিনি বলেন, “আজ সারাদিন কলকাতা পুলিশ অমিত শাহের সভাকে সফল করার জন্য যেভাবে অতি সক্রিয়তা দেখাল, সেটা এককথায় অভূতপূর্ব। এমনকি ধর্মতলা চত্বরে যারা ‘গোলী মারো’ স্লোগান দিল তাদেরও পুলিশ জামাই আদর করে শহিদ মিনারে পৌঁছে দিল। যারা দেশটাকে ভাঙতে চাইছে, যারা পাকিস্তানের সাথে ভারতকে তুলনা করে, তারাই তো গদ্দার। এই গদ্দারকে বাঁচানোর জন্য কংগ্রেস—বাম কর্মীদের বিরুদ্ধে মমতা ব্যানার্জীর পুলিশ পেশী ব্যবহার করল।
বিজেপির ‘আর নয় অন্যায়’ স্লোগান হাস্যকর বলেও মন্তব্য করেন সোমেনবাবু। তিনি বলেন, যাদের অন্যায় কাজ করার কোনও সীমা নেই এবং যারা থেকে দেশ টুকরো করার চেষ্টা করে চলেছে তারা কিভাবে অন্যায়ের প্রতিবাদ করবে?
অন্যদিকে বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর অভিযোগ, বিজেপি নেতৃত্ব ‘ক্রিমিনাল অ্যাক্টিভিটিজ’-এ মদত দিচ্ছে। আর তাতে ইন্ধন যোগাচ্ছেন মমতা। এদিন প্রকাশ্য বিজেপি সমর্থকদের ‘গোলি মারো’ স্লোগান নিয়ে সুজনের মন্তব্য, জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মত মুখ্যমন্ত্রী থাকলে গোলি মারো কে বলতে পারতেন দেখতাম। তিনি অবিলম্বে ভিডিও দেখে দোষীদের চিহ্নিত শাস্তির দাবি জানান। সুজনবাবু আরও বলেন, ওদের শাস্তি না দিলে দাঙ্গার আশঙ্কা আছে। আর তার জন্য দায়ী হবেন অমিত শাহ আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।