অর্ধেক মাস লোডশেডিং কুদঘাটের ১১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিস্তীর্ণ অঞ্চল, বিপর্যস্ত স্বাভাবিক জীবন
পরিমল কর্মকার (কলকাতা) : বিগত ১৫ দিন ধরে টানা লোডশেডিং এর কবলে পড়ে বিপর্যস্ত স্বাভাবিক জীবন যাপন থেকে শুরু করে ব্যবসা বাণিজ্য, এমনই অভিযোগ এলাকার বাসিন্দাদের। জানা গিয়েছে, ইলেকট্রিক আন্ডারগ্রাউন্ড কেবলের কাজ চলায় এই বিপত্তি। আর এতেই এলাকার মানুষ কটাক্ষ করে বলছেন, ভোটের আগে….. “এখন মনে পড়েছে..….! ”
উল্লেখ্য, কলকাতা পুরসভার ১১৪ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত কুদঘাট, গঙ্গাপুরী, সাহাপাড়া, শ্রীপল্লী, বাবুপাড়া, ঢালিপাড়া সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় দিনে প্রায় ১২/১৪ ঘন্টা টানা লোডশেডিং চলছে বলে অভিযোগ। গত দিন ১৫ ধরে প্রতিদিনই সকাল ৯ টা/১০ টার পরই বিদ্যুৎ চলে যায়, আর বিদ্যুৎ আসে সন্ধ্যা ৭ টা/৮ টার পর। কোনও কোনও সময় রাত ৮ টা/ ৯ টাতেও আবার বিদ্যুৎ চলে যায় বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের।
যারফলে বাড়ির টিভি, ফ্রিজ ও জরুরী প্রয়োজনে পাম্পে জল তোলা ইত্যাদি প্রায় শিকেয় উঠেছে। শীতকালে সন্ধ্যা ৫ টার পর এমনিতেই অন্ধকার নেমে আসে। তার উপর লোডশেডিং চলার ফলে রাস্তাঘাট, বাড়ি সবই অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।
শুধু তাই নয়, গত ১৫ দিন ধরে ১১৪ নম্বর ওয়ার্ড ও সংলগ্ন এলাকার দোকানপাটের ব্যবসা বাণিজ্যের অবস্থা আরও ভয়াবহ। অন্ধকারে দোকানগুলোতে খরিদ্দারের ভাঁটা। বিশেষ করে জেরক্স, কম্পিউটারের ব্যবসা তো এই এলাকায় এখন লাটে ওঠার মুখে বলে এক জেরক্স দোকানের মালিকের অভিযোগ।
এব্যাপারে ১১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃনমূল কাউন্সিলর বিশ্বজিৎ মন্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ইলেকট্রিক আন্ডারগ্রাউন্ড কেবলের কাজ চলছে। তাই এই লোডশেডিং। এইসঙ্গেই তিনি বলেন, “বিগত বাম সরকারের আমলে এই ওয়ার্ডে কোনও কাজ হয়নি বলেই এখন এই কাজগুলো করতে হচ্ছে….।”
তবে এলাকার অধিকাংশ মানুষই স্থানীয় কাউন্সিলরের এই যুক্তি মানতে নারাজ। তাদের বক্তব্য, “বিগত ১০ বছরেও বর্তমান সরকার কাজগুলো সম্পূর্ন করার সময় পেল না ? এখন ভোটের মুখে কাজের কথা… মনে পড়েছে….!” পরিস্থিতি দেখে অনেকেই শুভেন্দু অধিকারীর (এখন মনে পড়েছে…) এই স্লোগানটিকে রপ্ত করে ফেলেছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।