স্বাধীনতার ৭৩ বছর ধরে বাঁশের নড়বড়ে সেতু দিয়ে ৫০০ পরিবারের নদী পারাপার,ভোটের দোড়গোড়ায় ফের জোড়ালো দাবি হোসেনপুর বাসীর
মহম্মদ নাজিম আক্তার, অয়ন বাংলা .চাঁচল :-
স্বাধীনতার ৭৩ বছর কেটেছে তবুও গ্রামবাসী কষ্ট থেকে মুক্তি পায়নি।আবেদন-নিবেদন জোড়ালো হলেও ভ্রূক্ষেপ নেই কারোও।ভোট আসে ভোট যায় নেতা মন্ত্রী বদলেছে।একাধিক বার বদলেছে রাজ্যের সরকার।তবুও গ্রামবাসি এই দুর্ভোগ যন্ত্রণায় থেকেই গেছে।একুশের বিধানসভা নির্বাচনের দোড়গোড়ায় ফের অনুশোচনা করছেন ৫০০ পরিবারের গোটা গ্রামবাসী।মূলত মালদহের ৪৭-মালতিপুর বিধানসভার চন্দ্রপাড়া অঞ্চলের ৫০০ পরিবারের হোসেনপুর গ্রামটি দুই নদী মহানন্দা ও সুই নদীর মধ্যবর্তীতে ভৌগোলিকভাবে অবস্থান করেছে। কেলাইগাছি-হোসেনপুর ঘাটে গ্রামবাসী নিজ উদ্যোগেই বাঁশের সাঁকো তৈরী করছে স্বাধীনতা থেকে আজ অব্দি।
গ্রাম পঞ্চায়েত,স্কুল-কলেজ,ব্লক অফিস,হাট-বাজার,হাসপাতাল সহ জীবিকা নির্বাহের জন্য সর্বত্রই নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোই ভরসা।সাঁকোটিত একসাথে একজনের বেশি পারাপার করা যাবে না বলে হোসেনপুর বাসি জানাচ্ছেন।খড়াকালে এখন বাঁশের সাঁকোতে পারাপার চলছে।মহানন্দার জল বাড়লেই নৌকা করে চলে যাতায়াত।তবে খড়া হোক বা বর্ষা গোটা বছরই আতঙ্কের মধ্যেই পারাপার হয় গ্রামবাসি।পড়ুয়ারা স্কুল ও টিউশনি যাওয়ার জন্য পার হওয়ার সময় নদীতেও পড়েছে বইখাতা।
তবে কবে হবে পাকা ব্রীজ?স্বাধীনতার ৭৩ বছরেও মেলেনি পাকা সেতু।মিলেছে ভুরিভুরি আশ্বাস।এবার গ্রাম যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবে কি?এখন সেই অপেক্ষায় গোটা হোসেনপুর বাসী।