চরম বিড়ম্বনায় মোদী ২ সরকার এবার কৃষক আন্দোলনে সামিল বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা
ওয়েব ডেস্ক :- কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে এবার দিল্লি সীমানায় পৌঁছে গেলেন বৌদ্ধ ভিক্ষুরা। কৃষক আন্দোলনের বয়স প্রায় তিন মাস হতে চলল, কেন্দ্রের প্রণীত বিতর্কিত ৩ কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে এখনও নিজেদের অবস্থান বিক্ষোভে অনড় কৃষকরা। তাঁদের স্পষ্ট দাবি, আইন প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত তাদের আন্দোলন থামবে না। এ বিষয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠকের পরেও মেলেনি রফাসূত্র। আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে ইতিমধ্যেই সারা দেশের প্রচারে নামার কথা ভাবছেন কৃষক নেতারা। এই পরিস্থিতিতে পাশে দাঁড়াড়ালেন বৌদ্ধ ভিক্ষু সম্প্রদায়।
যদিও গত ডিসেম্বর থেকে গাজিপুরে কৃষকদের অবস্থান বিক্ষোভের জায়গায় বৌদ্ধ সন্ন্যাসিদের আনাগোনা লেগেই ছিল। সেখানে তাঁদের থাকার জন্য একটি তাবুও খাটানো হয়েছে। নতুন বছরে লোসার উৎসবের পরই এবার বৌদ্ধ ভিক্ষুরা দলে দলে আসতে শুরু করেছেন। গাজিপুরে কৃষকদের সঙ্গে থেকেই আন্দোলনে সামিল হতে যাচ্ছেন তাঁরা। এক বৌদ্ধ সন্ন্যাসি বলেন, ‘সামাজিক অন্যায়–অবিচার হলে চুপ করে থাকা উচিত নয়। ধর্ম আমাদের এটাই শিখিয়েছে। চাষবাসের কোনও ধর্ম হয় না। এই লড়াই আমাদের জীবন আর রুজিরুটির অধিকারের লড়াই।
সংবাদ সংস্থা এএনআই–কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এক ভিক্ষু বলেন, ‘তিনটি কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের আন্দোলনে সামিল হতেই লখনউ থেকে এসেছি আমরা। আমরা প্রতিজ্ঞা করেছি, যতক্ষণ না কৃষকদের দাবি মেনে নেওয়া হচ্ছে, ততক্ষণ আমরা এখান থেকে নড়ছি না।’
এমনিতে কৃষক আন্দোলন নিয়ে ঘরে বাইরে চাপের মুখে থাকা মোদি সরকার এবার আরও বেকায়দায় পড়বে শিখ সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ব্যক্তিবর্গের পর যদি বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা এই আন্দোলনে সরাসরি সামিল হয়। উল্লেখ্য মূলত তিব্বতের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বৌদ্ধ সন্ন্যাসী সম্প্রদায়ের বেশিরভাগ ভারতবর্ষের রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা দলাই লামার অনুগামী। প্রভাবশালী নেতা দলাই লামার অনুগামীরা কৃষক আন্দোলনে সামিল হলে মোদি সরকারের চিন্তা আরো বাড়বে বলে মনে করছেন অনেকে