বেহালায় তৃণমূলের অত্যাচারে বিজেপির কর্মীরা ঘরছাড়া এমনকি নিজের দলের নেতাদের নামেও অভিযোগ বিজেপি কর্মীর, প্রত্যুত্তরে ১১৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কো-অর্ডিনেটর কৃষ্ণা সিং বললেন ভুয়া অভিযোগ, চাইলেন ঘরছাড়া-দের নামের তালিকা
পরিমল কর্মকার (কলকাতা) : বেহালা পূর্ব মণ্ডলে বিজেপি কর্মীদের উপর অত্যাচার করছে তৃণমূল কর্মীরা। এমনকি তৃণমূলের অত্যাচারে বিজেপি কর্মীরা ঘরছাড়া…… কয়েকদিন আগের এমনই একটি অভিযোগ করেছেন ১১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তথা বিজেপির বেহালা পূর্ব মণ্ডলের পর্যবেক্ষক তারক ব্যানার্জী নামের এক ব্যক্তি। সেটি তিনি SKD Club Cell নামে বিজেপির একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দিয়ে এই প্রচার করেছেন। এমনকি এব্যাপারে তিনি তার দলীয় শীর্ষ নেতাদের জানিয়েও নাকি কোনও সহযোগিতা পাচ্ছেন না। তাই তিনি তার পদ থেকে পদত্যাগ করলেন বলেও ওই গ্রুপে প্রচার করেছেন। অথচ বিজেপির কয়েকজন শীর্ষ নেতাদের কাছে এব্যাপারে জানতে চাইলে তারা বলেন, এব্যাপারে তাদের কাছে কোনও খবর নেই। বিজেপি ক্লাব সেলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে তারক ব্যানার্জী যেহেতু এই ঘটনাটা প্রচারটা করেছিলেন, তাই বিজেপি ক্লাব সেলের কনভেনর তরুণ দাসকে এব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “তারক ব্যানার্জী নামের ওই ব্যক্তি আমার কাছে কোনও অভিযোগ করেননি, নামের তালিকাও দেননি। তাছাড়া ১১৬ নম্বর ওয়ার্ডে কারা কারা বাড়িছাড়া তাও জানিনা। ১১৬ নম্বর ওয়ার্ডটি আমার বাড়ির কাছেই। তাই তেমন কিছু হলে আমি সবচে়েয়ে আগে খবর পেতাম। যেহেতু আমার কাছে এই ধরনের কোনও খবর নেই, তাই এই ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করব না……।”
সাংবাদিক হিসেবে এই প্রতিবেদক তারক ব্যানার্জীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তার কাছে ঘর ছাড়া ও আক্রান্তদের নাম, ঠিকানা জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, “আপনি তৃণমূলের দালাল।” সাংবাদিক তখন তাকে বলেন যে, একজন সাংবাদিক হিসেবে তিনি সব রাজনৈতিক দলের খবরই করেন এবং করছেন। তাই দালাল সম্পর্কে তারকবাবুর কোনও ধ্যান ধারণাই নেই বলে অভিযোগ প্রতিবেদকের। তারক ব্যানার্জী নামের এই ব্যক্তিকে কি করে বিজেপি একটা মণ্ডলের পর্যবেক্ষকদের দায়িত্ব দিল……এনিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।
এব্যাপারে ১১৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কো-অর্ডিনেটর কৃষ্ণা সিংকে প্রশ্ন করা হলে “তিনি বলেন, বিজেপির কারা কারা অত্যাচারিত এবং কারা কারা ঘরছাড়া অবিলম্বে তার তালিকাটা ওই ব্যক্তি যেন আমাকে দেয়, এইসব মিথ্যা রটনা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ মেনে নেব না। ওনাকে নামের তালিকা দিতেই হবে। আমি নিজে ভেরিফাই করবো। আমার ১১৬ নম্বর ওয়ার্ডে সমস্ত রাজনৈতিক দলের মানুষকেই আমি সমান চোখে দেখি। আমার ওয়ার্ডের বাসিন্দারা অধিকাংশই গরীব মানুষ। আমি কোনও রাজনৈতিক ভেদাভেদ দেখিনা। সকলেই আমার কাছ থেকে সমান সুবিধা পান। তাই আমার ওয়ার্ডের কর্মীদের নামে মিথ্যা রটনা ও প্রচার করে ওই ব্যক্তি নিজেই ফাঁদে পড়বেন। মোট কথা অবিলম্বে ওই তালিকাটা যেন তিনি আমার কাছে পাঠিয়ে দেন…….।”