দেশ বিরোধী পিটিআই! সম্পর্ক ছিন্নর পথে প্রসার ভারতী
নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ – এবার প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া র উপর হস্তক্ষেপ ।
এবার ‘জাতীয়তাবিরোধী’ তকমা পেল সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই)। পিটিআই প্রকাশিত খবর ‘জাতীয় স্বার্থের জন্য ক্ষতিকারক এবং ভারতের আঞ্চলিক অখণ্ডতা ক্ষুণ্ণ করে।’ পিটিআইয়ের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনেছে প্রসার ভারতী।
সূত্রের খবর, ভারত-চিন সীমান্ত উত্তেজনা চরমে। এই প্রেক্ষিতে দিন কয়েক আগে ভারতে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূতের একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ করে পিটিআই। তার পরিপ্রেক্ষিতেই শনিবার পিটিআইকে বার্ষিক সাবস্ক্রিপশন বন্ধের হুমকি দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে প্রসার ভারতী (দূরদর্শন এবং অল ইন্ডিয়া রেডিয়ো-র নিয়ন্ত্রক সংস্থা)।
দূরদর্শন এবং অল ইন্ডিয়া রেডিয়োর নিয়ন্ত্রক সংস্থা প্রসার ভারতীর নিউজ সার্ভিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত সমীর কুমারের তরফে পিটিআইয়ের মার্কেটিং প্রধানকে পাঠানো ওই চিঠির বিষয়বস্তু ছিল, ‘পিটিআই প্রকাশিত খবর জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী।’
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘‘এমন জাতীয়তাবিরোধী খবরের পরে পিটিআইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক আর রাখা যায় না। সামগ্রিকভাবে পিটিআইয়ের কার্যকলাপ বিবেচনায় করা হচ্ছে, সেই প্রেক্ষিতেই পিটিআইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার প্রয়োজনীয়তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত দ্রুত জানানো হবে।” ওই চিঠির প্রাপ্তিস্বীকার করে পিটিআই জানিয়েছে, যথাসময়ে প্রতিক্রিয়া জানাবে তারা। দিল্লিতে এদিন অনেক রাত পর্যন্ত বোর্ড মিটিং চলে সংস্থার কর্তাদের।
দিন কয়েক আগেই ভারতে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূত সং ওয়েইডংয়ের সাক্ষাৎকার পিটিআই প্রকাশ করে। সেখানে নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘর্ষের জন্য ভারতকেই দায়ী করেছিলেন ওয়েইডং। লাদাখে চিন ভারতীয় জমি দখল করেছে কি না, সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন রাহুল গান্ধী।
বিদেশ মন্ত্রক পরে তা ঘুরিয়ে মেনে নিলেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দাবি, ‘কেউ ভারতের এলাকায় ঢোকেনি। কিন্তু ভারতীয় ভূখণ্ডে চিনা বাহিনীর অনুপ্রবেশ ও নির্মাণ নিয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করেননি চিনা রাষ্ট্রদূত। উল্লেখ্য, পিটিআইতে সাক্ষাৎকারেই ওয়েংডং গালওয়ান সংঘর্ষে চিনা ফৌজের মৃত্যুর বিষয়টি স্বীকার করে নেন।
১৯৪৭ সালে পিটিআই প্রতিষ্ঠিত হলেও দু’বছর পর থেকে সক্রিয়ভাবে কাজ শুরু করেছিল Rএই সংবাদ সংস্থা। পাঞ্জাব কেশরীর সিইও ও প্রধান সম্পাদক বর্তমানে পিটিআই পরিচালন বোর্ডের চেয়ারম্যান। দেশের অন্যতম বৃহৎ সংবাদ সংস্থা পিটিআই। ৫০০-রও বেশি ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের পাশাপাশি পিটিআই-এ প্রায় সাত কোটি
টাকার বার্ষিক সাবস্ক্রিপশন রয়েছে প্রসার ভারতীরও। তা ছাঁটার হুমকি দিয়ে প্রসার ভারতীর দেওয়া চিঠিতে ।