অয়ন বাংলা,গাজী রহমান ,নিউজ ডেস্ক :- আবারো শিশু মৃত্যুর মিছিল বিহারে ,শতাধিক পেরিয়ে গেল শিশু মৃত্যু ,কিন্তু হেলদোল নাই সরকার থেকে দায়িত্ব শীলদের। তাই আবারো বিহারে শিশু মৃত্যুর মিছিলে ।
মানবিক কাফিল খান।
নিজের দায়িত্বে বিভিন্ন ক্যাম্পে শিশুদের
চিকিরছেন। বারবার মানবিকতার
চিত্র তুলে ধরেছে ডাঃ কাফিল খান।
এই ছবি দেখে মনে পড়ে গেলো সেই
গোরক্ষপুরের শিশু মৃত্যুর মিছিল ?
১০ই আগস্ট, ২০১৭ — কাফিল খান ছুটিতে ছিলেন। রাত বাড়তেই শিশুবিভাগের চিকিৎসকদের নিজস্ব হোয়াটস্যাপ গ্রুপে
জানতে পারেন, সেন্ট্রাল লাইন দিয়ে শিশুদের কাছে পৌছোনো অক্সিজেন কমে আসছে। হাসপাতালে মজুত যে ক’টি সিলিন্ডার, মাত্র বাহান্নটি, তা নেহাতই সামান্য ।
ঝাঁপিয়ে পড়েন কাফিল। প্রথমে ফোন। সব চেনা নার্সিং হোম বা বেসরকারি হাসপাতালে। তারপর হাতড়াতে থাকেন সব সম্ভাব্য স্থানেই। এমনকি সুরক্ষা সীমা বল, তাঁদের কাছে থাকলেও থাকতে পারে, এই আশায়।
এক-দু’জন নয়। নিজের পকেট থেকে টাকা দিয়ে অক্সিজেন সিলিন্ডার কিনে এনে বহু শিশুর প্রাণ বাঁচিয়ে সকলের চোখের মণি হয়ে উঠেছিলেন হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ কাফিল খান।
মাত্র একটি রাত্রে, অক্সিজেনের অভাবে, তিরিশেরও বেশি শিশু মারা যাওয়ায়, সারা দেশ জুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সাথে সামনে আসে, ডাঃ কাফিল খানের মানবিক প্রয়াসের কাহিনী। সারা দেশের সামনেই, ডাঃ কাফিল খান, এক চিকিৎসকের অতিমানবিক হয়ে ওঠার প্রতীক হয়ে ওঠেন।
পাশাপাশি, কঠোর সমালোচনায় করা হয়
যোগী সরকারের।
ডাঃ কাফিল খান সরকারি ভাষ্য মেনে, ঘোষণা করতে রাজি হননি যে শিশুদের মৃত্যুর কারণ এনকেফেলাইটিস আর অক্সিজেনের অভাব
তেমন কোনও অসুবিধে হয়নি।
হজম করতে পারেনি যোগী সরকার।
যোগী ডাঃ কাফিল খানকে হুমকির সুরে বলে
ছিলো হিরো হতে চাইছো দেখো আমি কি করতে পারি।
হয়ত প্রথম শুরু কাফিল খানকে রাতারাতি
বাবা রাঘবদাস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের
এনসেফ্যালাইটিস ওয়ার্ডের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিল যোগী আদিত্যনাথ সরকার। তাঁর বিরুদ্ধে প্রাইভেট প্র্যাকটিসের অভিযোগ আনা হয়েছে।
ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে শুরু করে ডাঃ কাবিলের
বিরুদ্ধে যোগী সরকার।
সাসপেন্ড হয় ডঃ কাফিল খান, বিনাদোষে
জেলে ঢুকায়া।
অবশেষে তিনি নির্দোষ হলেও তার বিরুদ্ধে সাসপেন্ড তুলে নেওয়া হয়নি,বয়েকা বেতনও দেইনি।
স্বচ্ছল, শিক্ষিত পরিবারের সন্তান ডঃকাফিল খান।
দক্ষিণের দুর্মূল্য মেডিকেল কলেজ থেকে পাশ করেন স্নাতক আর স্নাতকোত্তর দুইই।
পাশ করার শেষেই মোটা মাইনের কর্পোরেট হাসপাতালের অফারও ছিল তাঁর সামনে।
কিন্তু ডঃ কাফিল খান সেই চাকরি করেন নি।
সরকারি চাকরিতে থেকে মানুষের কাছে থাকতে চেয়েছিলেন। আর চেয়েছিলেন বাড়ির কাছাকাছি থাকতে।
আর ভালো মানুষের মূল্য কম তার বাস্তব প্রামান
ডাঃ কাফিল খান।