কলকাতার নজরকাড়া ওয়ার্ড !! তৃণমূলের দলীয় সমন্বয় গড়ে তুলতে বেহালার ১২১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী করা হতে পারে কোনও সাংবাদিক অথবা চিকিৎসকে
পরিমল কর্মকার (কলকাতা) : বেহালার ১২১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর তথা বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ মানিক লাল চট্টোপাধ্যায় মারা গিয়েছেন আজ প্রায় দু’বছর অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে। করোনা আবহে ও লকডাউন পরিস্থিতির জন্য উপনির্বাচন না হওয়ার কারণে এই ওয়ার্ডটি এখন কার্যতঃ কাউন্সিলরহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে। “গুলি-কান্ড” নিয়ে স্বাভাবিক কারণেই এই ওয়ার্ডটি এখন কলকাতার মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ও নজরকাড়া ওয়ার্ড হিসেবে চিহ্নিত। কারণ কয়েকদিন আগেই তৃনমূল ওয়ার্ড সভাপতি রূপক গাঙ্গুলীর বাড়িতে গভীর রাতে গুলি চলেছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। ওই ঘটনার পরম্পরা নিয়ে এলাকায় এখনও চাঞ্চল্য ও আলোচনা চলছে অলিতে গলিতে। তবে যাইহোক মাথার উপর কাউন্সিলর না থাকা সত্ত্বেও দলীয় কর্মীরাই কাউন্সিলরের দায়িত্ব সামলে চলেছেন বলে খবর। এলাকার অসুস্থ ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা থেকে শুরু করে ওষুধপত্র যোগান দেওয়া, দরিদ্র মানুষদের খাদ্য সামগ্রী সহায়তা করা। পাশাপাশি দুয়ারে সরকারের রেশনকার্ড করানো, স্বাস্থ্যসাথী, লক্ষ্মীর ভান্ডার ইত্যাদি নানা প্রকল্পের মধ্য দিয়ে তৃণমূলের কর্মীরা কাউন্সিলরের অভাব বুঝতে দিচ্ছেন না বাসিন্দাদের…. সূত্রের খবর এমনটাই।
এমনকি বিগত বিধানসভা নির্বাচনে এই ওয়ার্ড থেকে তৃণমূল প্রার্থী রত্না চট্টোপাধ্যায়কে ৪ হাজারেরও বেশি ভোটের “লিড” এনে দিয়েছেন তৃণমূলের জেলা যুব সম্পাদক সোমনাথ ব্যানার্জী (বাবন) ও ওয়ার্ড সভাপতি রূপক গাঙ্গুলীর নেতৃত্বে দলের কর্মীরা। তা সত্বেও দলের বাইরের কিছু মানুষের ইন্ধনে এলাকায গুলি চলা, কর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাধানোর একটা চেষ্টা করছে কিছু সুযোগ সন্ধানী লোক। এই লোকগুলোকে কোনও দলীয় কর্মসূচিতে তেমন ভাবে পাওয়াও যায়না বলে অভিযোগ। মূলতঃ পুর নির্বাচনে টিকিট হাসিল করতেই এরা নানা পন্থা অবলম্বন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, এই দ্বন্দ্বকে সরিয়ে রেখে এবং বহিরাগত প্রার্থীকেও কোনো গুরুত্ব না দিয়ে, আসন্ন পুর নির্বাচনে স্থানীয় কোনো সাংবাদিক কিংবা চিকিৎসককে তৃণমুল প্রার্থী করতে পারে দল… এমনই একটা সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বলে সূত্রের খবর।
প্রসঙ্গত: সেদিক থেকে দেখতে গেলে খুবই সাধারণ পরিবারের মিশুকে ও শিক্ষিত যুবক অজয় পালের টিকিট পাওয়ার সম্ভাবনাকেও এই মুহূর্তে কোনোভাবেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কারণ তিনি প্রায় ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা করার সূত্রে এই ওয়ার্ডটিকে হাতের তালুর মত চেনেন। শুধু তাই নয়, দরিদ্র মানুষের পাশে থেকে বিনাখরচে বয়স্ক মানুষদের নানা ধরনের পরিষেবা থেকে শুরু করে গরীব মানুষের পাশে থেকে “বাঁধনছেড়া” সংগঠনের পক্ষ থেকে তাদের স্বাস্থ্য পরিসেবায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছেন। সেই সূত্রেও তিনি এলাকায় খুবই জনপ্রিয়… একথা নির্দ্বিধায় বলছেন এলাকার মানুষ।
উল্লেখ্য, হুগলির বলাগর কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সাংবাদিক অজয় পাল। মনোরঞ্জনবাবু একসম়য় রিক্সচালক থেকে শুরু করে রান্নার কাজও করেছেন। নানা ঘাত প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে জীবন সংগ্রাম করে তিনি আজ তৃনমূলের বিধায়ক… এই ধরনের খবরও অজয় পালের লেখনীতে প্রকাশিত হয়েছে। তাই নানা কারণেই এলাকার মানুষ এই সহজ সরল মিশুকে অজয়কে সহজেই মেনে নেবেন বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা।
পাশাপাশি এই ওয়ার্ডে তৃনমূল প্রার্থীর দৌড়ে রয়েছেন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক গণেশ দ্বিবেদি। যিনি এলাকার মানুষের অসুস্থতার খবর পেলেই রাত-বেরাতে ছুটে যান রোগীর বাড়িতে। তাই এই দুজনের বিশ্লেষনিক সংবাদ পার্টির নজরে আনা হলো মাত্র। তবে পার্টির শীর্ষমহল ও দলের কর্মীরা এই খবরের গুরুত্ব ও প্রয়াস কতটা মেনে নেন, সেটাই এখন দেখার……!!!!