নিউজ ডেস্ক:- এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশে হস্তক্ষেপে সদ্য মুক্তি পেয়েছেন উত্তরপ্রদেশের চিকিৎসক কাফিল খান। তবে ‘নিরাপত্তার অভাবে’ ও ‘ষড়যন্ত্রের আশঙ্কায়’ মুক্তির আস্বাদ যেন এক ভয়ের আবহ । যোগী রাজ্যে আজ অপরাধের স্বর্গ রাজ্য।এন কাউন্টার যেন জলভাত । একেবারে যেন হিন্দি সিনেমার চিত্রনাট্য । তাই কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর ‘নিরাপদ আশ্রয়য়ের প্রতিশ্রুতিতে’ ভর করে যোগীরাজ্যে ছেড়ে রাজস্থান পাড়ি দিয়েছেন কাফিল খান ।
বৃহস্পতিবার রাজস্থান পৌঁছানোর পর জয়পুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে দেখ করেন চিকিৎসক কফিল খান। তিনি বলেন, “জয়পুরে আমাদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। আমার মা ও স্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। আমারও উপর অন্য অভিযোগে ফের মামলা করা হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন তিনি। রাজস্থান পৌঁছে নিজেকে নিরাপদ মনে হচ্ছে।”
এলাহাবাদ হাই কোর্টের ল.নির্দেশে মঙ্গলবার মধ্যরাতে কাফিল খানকে মথুরার জেল থেকে ছাড়া হয়। গতকাল সকালেই এলাহাবাদ হাই কোর্ট জানায়, কাফিলকে আটক রাখা সম্পূর্ণ অবৈধ। তাঁর মন্তব্যে ঘৃণা বা বিদ্বেষ ছড়ানোর মতো কোনও শব্দ ছিল না। উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশের BRD হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে রোগী মৃত্যুর ঘটনায় কাফিল খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুধু তাই নয়, তাঁকে সাসপেন্ডও করে প্রশাসন। যদিও ওই চিকিৎসকের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, হাসপাতালের ঘটনার পর থেকেই যোগীর প্রশাসন কাফিলের উপর খড়গহস্ত হয়েছিল। সেই প্রতিহিংসা চরিতার্থ করছে তারা। উল্লেখ্য, মুম্বইতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA) বিরোধী প্রতিবাদ-আন্দোলনে যোগ দিতে যাওয়ার সময় উত্তরপ্রদেশ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স বিমানবন্দর থেকে কাফিলকে গ্রেপ্তার করেছিল। তারপর থেকেই মথুরা জেলেই বন্দি ছিলেন তিনি। তার উপর NSA প্রয়োগ করা হয়েছে। এদিকে, রাজস্থানে পৌঁছে ফের তাঁর চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে আরজি জানান কাফিল। তাঁর বক্তব্য, কাজে ফিরে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা করতে চান তিনি।
উত্তর প্রদেশের হাসপাতালে শিশু মৃত্যুর মিছিল আটকাতে অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়ে সাহায্য দান .বন্যা দুর্গতদের চিকিৎসা প্রদান সহ বিভিন্ন অসহায়দের পাশে দাড়ানো ,তিনি সব সময় মানুষের পাশে নিয়োজিত থেকে কাজ করেছেন।