জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ, অসমে বুলডোজারে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল মাদ্রাসা
ওয়েব ডেস্ক: সাম্প্রতিক অতীতে উত্তরপ্রদেশে বুলডোজারের সাহায্যে দেশদ্রোহে অভিযুক্তদের বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার একাধিক ঘটনা ঘটেছে। এবার বুলডোজারের দেখা মিলল অসমেও । অবৈধ এক মাদ্রাসা বুলডোজারের সাহায্যে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল অসমে। অভিযোগ, ওই মাদ্রাসার সঙ্গে যোগ ছিল এক জঙ্গি গোষ্ঠীর। আর তাই রাজ্যের মৈরাবাড়ির মরিগাঁও এলাকায় অবস্থিত ওই মাদ্রাসাটি ভেঙে দেওয়া হল।
প্রসঙ্গত, গতকালই অসমে ধরা পড়েছে এক বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠনের সদস্য। গ্রেপ্তার করা হয়েছে মুস্তফা ওরফে মুফতি মোস্তাফা নামের মরিগাঁও এলাকার এক মাদ্রাসা শিক্ষককে। মুস্তফা এখন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। ২০১৭ সালে ভোপাল থেকে ইসলাম আইনে পিএইচডি শেষ করে মুফতি মুস্তফা। ওই জঙ্গিই জামিউল হুদা নামের একটি মাদ্রাসা চালাত বলে জানা যায়। আর তাই রাষ্ট্রবিরোধী আইন মেনেই সেটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হল। ওই মাদ্রাসায় যে ৪৩ জন পড়ুয়া পড়ত তাদের অন্য স্কুলে ভরতি করে দেওয়া হয়েছে। ধৃত জঙ্গি বাংলাদেশের অন্যতম জঙ্গি সংগঠন আনসারুল বাংলার সদস্য বলেই পুলিশের দাবি।
এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবারই অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা দাবি করেন, অসম জিহাদি কার্যকলাপের কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে। সাম্প্রতিককালের পাঁচটি ঘটনায় বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠন আনসারুল ইসলামের যোগ মিলেছে বলে জানিয়েছেন হিমন্ত। গোটা বিষয়ে তিনি উদ্বিগ্ন। প্রশাসন কাজ করছে, তবে সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে, বলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। সন্দেহভাজন মনে হল পুলিশকে খবর দিতে বলেছেন তিনি।
তাঁর অভিযোগ, রাজ্যে বাইরের লোক ঢুকে মাদ্রাসায় ছাত্রদের মগজধোলাই দিচ্ছে, জিহাদে উদ্বুদ্ধ করছে তাদের। বলেন, “বাইরে লোক ঢুকে মাদ্রাসাগুলিতে পড়ুয়াদের মগজধোলাই দেওয়ার কাজ করছে। যা রীতিমতো আতঙ্কের বিষয়।”