বাংলায় শিক্ষা গ্রহণ করে বহু ছাত্র-ছাত্রী বিদেশে গিয়ে অনেকেই উচ্চ পদে কর্মরত, শিক্ষক দিবসে বেহালায় এক অনুষ্ঠানে মন্তব্য বিধায়িকা রত্না চট্টোপাধ্যায়ের
পরিমল কর্মকার (কলকাতা) : শিক্ষক দিবস উপলক্ষে রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বেহালায় শরৎ সদন প্রেক্ষাগৃহে এক অনুষ্ঠানে বেহালা পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে কৃতী ছাত্র ও ছাত্রীদের “বেহালার গর্ব” নামের এক অনুষ্ঠানে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। প্রতি বছরের মতো এবারেও বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় এই অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় বলে জানানো হয়। অনুষ্ঠানে বেহালা পশ্চিম বিধানসভা এলাকার ৪০ টি স্কুলের ৪ জন করে মোট ১৬০ জন কৃতী ছাত্র-ছাত্রীদের সম্বর্ধনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
প্রসঙ্গত : মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী বাবলি চট্টোপাধ্যায় প্রয়াত হওয়ার পর থেকেই তাঁর স্মৃতির স্মরণে প্রতি বছরই কৃতী ছাত্র-ছাত্রীদের ও শিক্ষকদের এই সম্মাননা জ্ঞাপন করে আসছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তারই উদ্যোগে প্রতি বছরই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিধয়িকা রত্না চট্টোপাধ্যায় বলেন, আগে সবাই জানতেন মেয়েদের পড়াশুনা করিয়ে কি হবে ? মেয়েদের তো বিয়ে হয়ে যাবে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই মেয়েদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন। এমনকি কন্যাশ্রী প্রকল্প চালু করলেন, যাতে মেয়েরা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারে ও নিজেরা স্বনির্ভর হতে পারে। কন্যাশ্রী প্রকল্প এখন পৃথিবীতে সেরা প্রকল্প হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। বাংলা থেকে পড়াশুনা করে বহু ছাত্র-ছাত্রীরা বিদেশে এখন অনেক উচ্চপদে কর্মরত রয়েছেন। তাই সকল শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার প্রতি মনোযোগী হতে পরামর্শ দেন তিনি। অন্যান্য বক্তারাও ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনার প্রতি আগ্রহী হতে মতামত দেন।
জানা গিয়েছে, এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বেহালা পূর্বের বিধায়িকা রত্না চট্টোপাধ্যায়, ১৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অরর্ডিনেটর সঞ্চিতা মিত্র, ১২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর শিপ্রা ঘটক, ১২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর ঘনশ্রী বাগ, ১৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়, ১১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর অশোকা মণ্ডল সহ বেহালা পশ্চিমের কো-অর্ডিনেটররা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, ১২৯ নম্বর ওয়ার্ডের পক্ষ থেকে তৃনমূল নেতা অঞ্জন দাস, ১২৭ নম্বর ওয়ার্ডের পক্ষ থেকে কল্যাণ সেনগুপ্ত, শ্রীকুমার রায় চৌধুরী, প্রদীপ বাগ, আইএনটিটিইউসি-র জেলা সভাপতি শক্তি মণ্ডল, বেহালা কলেজের অধ্যক্ষা শর্মিলা মিত্র, সাহিত্যিক তপন বন্দোপাধ্যায়, কলকাতা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি কার্তিক মান্না প্রমুখ।