ওয়েবডেস্ক:- গতকাল অমিত শাহ বলেছিলেন শাহীন বাগের আন্দোলন কারীরা যদি আলোচনা করতে চায় করতে পারে ,কিন্তু সময় নাই বলে জানিয়ে দিতেই আজ শাহিন বাগের আন্দোলনকারীরা মিছিল করে এই মূহূর্তে স্বরাষট্র মন্ত্রীর বাড়ির সামনে। শাহ জানিয়েছিলেন যদি শাহিনবাগ চায়, তবে তাঁর সঙ্গে দেখা করে সিএএ নিয়ে আলোচনা করতেই পারে। শাহের থেকে গ্রিন সিগন্যাল আসার পর শাহিনবাগ জানায় রবিবার দেখা করতে প্রস্তুত তাঁরা। কিন্তু বাধ সাধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। জানিয়ে দেওয়া হয় সিডিউল মেনে রবিবার সময় দিতে পারবেন না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপর অনুমতি ছাড়াই রবিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসভবন কৃষ্ণ মেনন মার্গের অভিমুখে মিছিল শুরু করলেন শাহিনবাগের প্রতিবাদীরা। ঘটনার জেরে ঘুম ছুটল দিল্লি পুলিশের।
সিএএ ও এনআরসি নিয়ে আলোচনার জন্য অমিত শাহের সঙ্গে সকলে মিলে দেখা করতে চেয়ে দিল্লি পুলিশের কাছে আবেদন করেছিলেন শাহিনবাগের প্রতিবাদীরা। কিন্তু ওই প্রস্তাব পত্রপাঠ খারিজ করে দেয় পুলিশ। পুলিশের তরফে জানতে চাওয়া হয়, প্রতিবাদীদের প্রতিনিধি হয়ে কারা যাবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। তবে শাহিনবাগ স্পষ্ট জানায় তাঁরা সবাই দেখা করতে যাবেন। স্বাভাবিকভাবেই এই অনুমতি মেলেনি। এরপর পুলিশের প্রস্তাব উড়িয়েই রবিবার রাস্তায় নামেন শাহিনবাগের বিশাল সংখ্যক প্রতিবাদী। জাতীয় পতাকা, পোস্টার, ব্যানার সহ মিছিলে ছিল আম্বেদকরের ছবিও। প্রায় ৫ হাজার প্রতিবাদীর এই মিছিল আটকাতে বিশাল ব্যারিকেডে ঘিরে ফেলা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাস ভবনের চারপাশ। অনুরোধ সত্ত্বেও নিরাপত্তার খাতিরে এই মিছিলের অনুমতি কোনওভাবে দেওয়া হবে না বলে স্পষ্ট জানায় দিল্লি পুলিশ। স্বাভাবিকভাবেই কড়া নিরাপত্তার বেষ্টনীতে আটকে পড়ে শাহিনবাগের প্রতিবাদ মিছিল। অন্যদিকে, এমনিতে হাই সিকিওরিটি জোন হলেও এই ঘটনার পর নিরাপত্তা আরও কড়া করা হয়েছে কৃষ্ণ মেনন মার্গের।
উল্লেখ্য, সিএএ আইনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই উত্তাল গোটা দেশ। দিল্লি নির্বাচনের মাঝে এই ঘটনা প্রচারেরও অন্যতম মাধ্যম হয়েও উঠেছিল। তবে ভোট পর্ব মিটতেই। বৃহস্পতিবারই এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শাহ জানান, কেউ সিএএ নিয়ে আলোচনা করতে চাইলে তিনি প্রস্তুত। তাঁর মন্ত্রক থেকে যেন আলোচনার সময় নেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের পরই শাহিনবাগের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, অমিত শাহের ইচ্ছানুযায়ি আগামী রবিবার তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাবেন শাহিনবাগের প্রতিবাদীরা। যদিও রবিবার শাহর সঙ্গে প্রতিবাদীদের বৈঠকের সময় বের করতে পারেনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
এ যে নিজের প্যাঁচেই অমিত শাহ পড়ে গেলেন।