শূন্যপদে দ্রুত নিয়োগের দাবিতে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনে স্বারকলিপি সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের
নিজস্ব সংবাদদাতা,কোলকাতা:- সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে মঙ্গলবার বিকাশভবনে রাজ্যে শিক্ষক অভাবে ধুঁকতে থাকা মাদ্রাসায় দ্রুত শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনে স্বারকলিপি জমা দেওয়া হয়।
সংগঠনের পক্ষ থেকে এক প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে- সম্প্রতি আমরা লক্ষ্য করেছি রাজ্যের মাদ্রাসাগুলি শিক্ষক অভাবে ধুঁকছে, বিশেষ করে এবছরের জেনারেল ট্রান্সফার হওয়ার পর মালদা মুর্শিদাবাদ সহ সমস্ত উত্তরবঙ্গ ও গ্রামীণ এলাকার মাদ্রাসাগুলি শিক্ষক শূন্যতায় ভুগছে। ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত – সরকারী নির্দেশ অনুসারে হওয়া উচিত ৩৫ : ১ । কিন্তু মুর্শিদাবাদ, মালদা, উত্তর দিনাজপুর যেখানে মাদ্রাসার সংখ্যা সর্বাধিক সেখানে এই অনুপাত গড়ে ১০০ : ১ এর থেকেও অনেক বেশি। বহু মাদ্রাসায় দীর্ঘদিন শিক্ষক-শিক্ষিকার পদ খালি পড়ে আছে। শিক্ষকের অভাবে মাদ্রাসাগুলি মৃতপ্রায়। বহু মাদ্রাসায় শিক্ষাকর্মী পদ ফাঁকা। শিক্ষক অভাবে রাজ্যের বহু মাদ্রাসা বন্ধ হতে চলেছে। দেশের মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের পক্ষে রায় দেওয়ার পরও কমিশনের নিষ্ক্রীয়।
এমতাবস্থায় রাজ্যের মাদ্রাসা শিক্ষাকে বাঁচাতে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে দ্রুত শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানাচ্ছি।
আমরা চাই:-
১) মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে স্বচ্ছতার সঙ্গে আপটুডেট ভ্যাকান্সিতে দ্রুত শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী নিয়োগ করতে হবে এবং এবিষয়ে দ্রুত বিজ্ঞাপন প্রকাশ করতে হবে।
২) মাদ্রাসা শিক্ষার হাল ফেরাতে ছাত্র শিক্ষক অনুপাতের ভিত্তিতে অটোমেটিক ভাবে শূন্যপদ সৃষ্টি করতে হবে।
৩)আন্দোলনরত মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের সফল চাকরি প্রার্থীদের সমস্যা দ্রুত সামাধান করতে হবে।
৪) ট্রান্সফার নেওয়া শিক্ষকদের নতুন কর্মক্ষেত্রে যোগদান করতে বাধা প্রদান করা মাদ্রাসা কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৫) ২০১০ সালে পরীক্ষা হয়ে থাকা গ্রুপ ডি পরীক্ষার রেজাল্ট বার করে দ্রুত নিয়োগ করতে হবে।
৬)সর্বক্ষেত্রে মাদ্রাসা সর্ভিস কমিশনের নিয়ম মেনে মেধাকে প্রাধান্য দিয়ে কোনভাবেই শিক্ষক শিক্ষাকর্মী নিয়োগে দূর্নীতি করা হবে না- এব্যাপারে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
৭) মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান ও সেক্রেটারি পদে পূর্ণ সময়ের দায়িত্বশীলদের স্থায়ীভাবে নিয়োগ করতে হবে।
৮) মুলতুবি থাকা শিক্ষক শিক্ষিকাদের বদলি ব্যবস্থা পুনঃরায় চালু করতে হবে।
৯) মাদ্রাসা শিক্ষার ঐতিহ্য বজায় রাখতে ইসলামী সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিষয়ে জ্ঞান সম্পন্ন শিক্ষক পদপ্রার্থীদের মাদ্রাসায় নিয়োগ করতে হবে।
১০) অবিলম্বে নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করে মাদ্রাসাগুলিতে দ্রুত সুপারিনটেনডেন্ট ও প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে।
এদিন স্বারকলিপি প্রদানে প্রতিনিধি দলে সাধারণ সম্পাদক মহঃ কামরুজ্জামানের সঙ্গে ছিলেন সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের সভাপতি মাওঃ আনোয়ার হোসেন কাসেমী, সহ সম্পাদক শিক্ষক আলি আকবর, দঃ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক মাওঃ এলাহি বক্স, কেন্দ্রীয় সদস্য জিয়াউর রহমান গাইন।