বেহালায় ১২১ নম্বর ওয়ার্ডে সম্বর্ধিত বিধায়িকা রত্না চট্টোপাধ্যায়, পাশাপাশি টালিগঞ্জ ও বেহালায় সম্বর্ধিত সোমনাথ ব্যানার্জী ও রূপক গাঙ্গুলী
পরিমল কর্মকার (কলকাতা) : দীর্ঘদিন ধরে বেহালা পূর্ব কেন্দ্রটি কার্যতঃ বিধায়ক শূন্য অবস্থায় পড়ে থাকার পর বিগত বিধানসভা নির্বাচনে এখানে তৃণমূল প্রার্থী রত্না চট্টোপাধ্যায় জয়ী হয়ে বিধায়িকা নির্বাচিত হন। যারফলে এলাকায় একজন প্রশাসনিক অভিভাবিকা তথা বিধায়িকাকে পেয়ে যারপরনাই খুশি দলের পার্টি কর্মী থেকে শুরু করে এলাকার বাসিন্দারা। তাই সিরিটি সংলগ্ন শুকতারা সংঘের মাঠে ১৬ আগস্ট এক সম্বর্ধনার মধ্য দিয়ে রত্না চট্টোপাধ্যায়কে বরণ করে নিলেন ১২১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মীরা। এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন দক্ষিণ কলকাতা জেলা যুব তৃণমূলের সম্পাদক সোমনাথ ব্যানার্জী (বাবোন) ও ওয়ার্ড সভাপতি রূপক গাঙ্গুলী সহ ওয়ার্ডের কর্মিবৃন্দরা।
উল্লেখ্য, কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায় ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে বেহালা পূর্বে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়ে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। তারপর ২০১৭ সালে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। তবে বিধায়ক পদটি তিনি কিন্তু ছাড়েননি, উপরন্তু বিধায়ক হিসেবে এলাকার কোনো কাজও তিনি করেননি বলে অভিযোগ। এরফলে এই বিধানসভাটি দীর্ঘদিন ধরে কার্যতঃ বিধায়ক শূন্য অবস্থায় পড়ে ছিল। তাই শোভন পত্নী রত্না চট্টোপাধ্যায় এখানে বিধয়িকা হওয়ার ফলে এলাকার মানুষ বিধায়ক কোটায় যে পরিষেবা পায়, তারই লক্ষ্যে আশান্বিত বলে খবর। স্বাভাবিক কারণেই এদিন এলাকার তৃণমূল কর্মী থেকে শুরু করে এলাকার বাসিন্দারা সম্মাননা জ্ঞাপন করে তাকে বরণ করলেন।
পাশাপাশি ১৫ আগস্ট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে “খেলা দিবস” উপলক্ষে ও রক্তদান উৎসবে টালিগঞ্জে ওয়ারলেস মাঠে সেবক সংঘের আয়োজনে সোমনাথ ব্যানার্জী ও রূপক গাঙ্গুলীকে সম্বর্ধিত করা হয়। ওইদিনই বেহালার ১২১ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত ১৮ বিঘা অঞ্চলে নতুন সংঘের মাঠে ও এমপি বিড়লা স্কুল সংলগ্ন স্টেডিয়ামের সামনে বন্ধুমিলন ক্লাব প্রাঙ্গণে ক্লাব কতৃপক্ষের পক্ষ থেকে সোমনাথ ব্যানার্জী (বাবোন) ও রূপক গাঙ্গুলীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। দলের দক্ষ সংগঠক ও সামাজিক কাজে সক্রিয় ভূমিকার জন্য তাদের দুজনকে সম্বর্ধনার মাধ্যমে এই স্বীকৃতি দেওয়া হল বলে জানান উদ্যোক্তারা।