সুরজিৎ দে. অয়ন বাংলা :- স্বামীর পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় খুন, গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় মালদার চাঁচলে। শোবার ঘরের মেঝেতে এক বধুর দেহ উদ্ধার কে ঘিরে রহস্যের দানা বেঁধেছে। মেয়ের বাপের বাড়ি তরফে শ্বাসরোধ করে খুন করায় অভিযোগ তুলছে বধুর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। ঘটনার পরে কেন বধূর দেহ ফেলে পালিয়ে গিয়েছেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন এ নিয়ে প্রশ্ন বাসিন্দাদের। ঘটনাকে ঘিরে রবিবার মালদা জেলা চাচল থানার সেরবাবর গ্রামে চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃত ওই বধূর নাম মোশরেফা খাতুন (১৯)। বধূর বাপের বাড়ির লোকজনদের অভিযোগ, জামাইয়ের পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় মেয়েকে দীর্ঘদিন ধরেই নির্যাতন ও মারধর অত্যাচার চলত। সমস্যার সুরাহা জন্য গ্রামের মোড়ল দের নিয়ে একাধিকবার সালিশি সভা করা হলেও সমস্যা মিটেনি। সম্প্রীতি তিনেক আগে গ্রামেরই পূর্বপাড়ার রেজ্জাক আলী সঙ্গে মোস্তফার বিয়ে হয়। দিনমজুরি করে রেজ্জাক বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। তাদের দেড় বছরে এক পুত্র সন্তান রয়েছে। স্বামী রেজ্জাক পরকীয়ায় জড়ান বলে অভিযোগ মেয়ে পক্ষের। তা নিয়ে দুজনের অশান্তি শুরু হয় দীর্ঘদিন ধরেই। প্রতিবাদ করলে মোশরেফা কে শ্বশুরবাড়ির লোকজন মারধোর করতেন বলেও অভিযোগ করেছেন মেয়ের মা ভাই। তা নিয়ে এলাকায় পাঁচ থেকে ছয় বার সালিশি ও হলেও সমস্যার সুরাহা হয়নি। এদিন সকালে স্থানীয়রা তাদের বাড়িতে দেখতে পান মেঝেতে পড়ে রয়েছে বধু। তারপরে শুরু হয় চেঁচামেচি। তবে তার আগেই মৃত বধুর শ্বশুরবাড়ির সবাই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। তবে ঘরে বাঁশের একটি বধুর ওড়না ছিল। বধু আত্মহত্যার আতঙ্কে শ্বশুরবাড়ির লোকজন পালিয়ে যেতে পারে বলে পুলিশ প্রাথমিক অনুমান করছেন। তবে খুন করে মারা হয়েছে বলে দাবি মেয়ের বাপের বাড়ির লোকজন এর। আমার বোনের বিয়েতে পণ বকেয়া ছিলো না। তবে দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় বোন কে খুন করে মারলো ওরা বলে দাবি মেয়ের ভাই বানিযুদ্দিন এর। চাচল থানার পুলিশকে মৌখিকভাবে ঘটনার বিবরণ জানানো হয়েছে। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে রাতে লিখিত অভিযোগ জানাবো বলে মেয়ের ভাই বানিজুদ্দিন জানান। আত্মহত্যা না খুন পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। লিখিত অভিযোগ মিললেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন চাচল থানার পুলিশ।