আগামী ছয় মাসের মধ্যে “নতুন তৃণমুল”— হোর্ডিং দক্ষিণ কলকাতায়
পরিমল কর্মকার (কলকাতা) : ১৬ আগস্ট বিকেল থেকেই দক্ষিণ কলকাতার কালীঘাট, হাজরা, ভবানীপুর সহ বেশ কিছু এলাকায় “আগামী ছয় মাসের মধ্যে সামনে আসবে নতুন তৃণমূল… ঠিক যেমন সাধারণ মানুষ চায়”— এমনই পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছে কিছু এলাকা। পোস্টারগুলি সবই হোর্ডিং এর আকারে দেওয়া হয়েছে। এই পোস্টারের প্রচারে নাম রয়েছে “আশ্রিতা” ও “কলরব” নামের দুটি সংস্থার। এই পোস্টারে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের ছবি দেওয়া রয়েছে অথচ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ছবি নেই, আর এ থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। স্বাভাবিকভাবেই এই পোস্টারকে কেন্দ্র করেই রাজ্য রাজনীতি এখন সরগরম। বিরোধীরা এই প্রচারকে সামনে রেখে আদি তৃণমূল কংগ্রেসের আসু ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রকাশ্যে তরজায় নেমেছেন।
প্রসঙ্গত: বিরোধী নেতা-নেত্রীরা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ্যে প্রশ্ন তুলেছেন, তাহলে সাধারণ মানুষ এখন কি আর মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আদি তৃণমূল কংগ্রেসকে চাইছেন না ? তাই পোস্টার দিয়ে বলতে হচ্ছে — আগামী ছয় মাসের মধ্যে সামনে আসবে “নতুন তৃণমূল”। সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী, কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী ও বিজেপির শমীক ভট্টাচার্য সহ বিরোধীরা সকলেই এক সুরে বলছেন, তা না হলে পোস্টারে এমন কথা কেন লেখা হলো, “ঠিক যেমন সাধারণ মানুষ চায়…” অর্থাৎ রাজ্যের সাধারণ মানুষ এখন আর এই তৃণমূল দলটাকে আর চাইছেন না। তাই এমন পোস্টার দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন তারা।
এব্যাপারে মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, এই ধরনের পোস্টারের খবর তার কাছে নেই। অন্যদিকে বিরোধীদের দাবি, পোস্টারটা ভাইরাল হয়ে গেল, অথচ মেয়র বলছেন তিনি জানেন না ! আসলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অনুব্রত মণ্ডল দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়ার পরই এই ধরনের নেতাদের দল থেকে ঝেড়ে ফেলতে এই কৌশল নেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন তারা।