নিউজ ডেস্ক,অয়ন বাংলা :- আসল সত্য বেরিয়ে এল প্রবীণ তোগাড়িয়ার মুখ থেকে । দেশজুড়ে NRC কার্যকর করার কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অমিত শাহ। সংসদে পাশ হয়েছে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা CAA। এই আইনের মাধ্যমে প্রতিবেশী তিন দেশের অত্যাচারিত সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেবে ভারত। তবে অত্যাচারিত সংখ্যালঘুদের তালিকায় নেই মুসলিম। কেন্দ্রের পাশ করা এই আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে উত্তাল গোটা দেশ। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে পথে নেমেছেন বিশিষ্টজনেরা। তবে কেন্দ্রের আশা ছিল, হিন্দুত্ববাদীদের সম্পূর্ণ সমর্থন পাবে তারা। কিন্তু সেই আসায় কার্যত জল ঢেলে দিলেন প্রবীণ তোগাড়িয়া। তাঁর সাফ কথা, দেশের নাগরিকত্ব তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারেন হিন্দুরাও। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সভাপতির এই মন্তব্যে কার্যত বিপাকে কেন্দ্র সরকার।
NRC হলে নাগরিক তালিকা থেকে বাদ পড়বেন ১৪ কোটি হিন্দু। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কার্যকরি সভাপতি প্রবীণ তোগাড়িয়া। তাঁর মন্তব্যের জেরে বিপাকে মোদি-শাহ জুটি। দেশের আর্থিক পরিস্থিতি, NRC ও CAA’র প্রতিবাদে লাগাতার আন্দোলন নিয়েও কেন্দ্র সরকারকে দুষেছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সভাপতি।
ঠিক কী বলেছেন প্রবীণ তোগাড়িয়া? উত্তরপ্রদেশের মীরাট ক্যান্টনমেন্ট এলাকার শুভম হাসপাতালের সাংবাদিক বৈঠকে অসমের NRC’র প্রসঙ্গ টেনে প্রবীণবাবু বলেন, ৪৫ লাখ বাংলাদেশি ভারতের নাগরিকত্ব পেয়েছেন। কিন্তু ১৫ লাখ ভারতীয় নাগরিকত্ব তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। এরপরই তাঁর আশঙ্কা, “একইভাবে দেশজুড়ে নাগরিকত্ব আইন কার্যকর হলে তালিকা থেকে বাদ পড়বেন প্রায় ১৪ কোটি হিন্দু।” একইসঙ্গে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কার্যকরি সভাপতির প্রশ্ন, কাশ্মীরি হিন্দুদের জন্য CAA-তে কী ব্যবস্থা করা হয়েছে? এই আইন নিয়ে দেশজুড়ে আন্দোলন চলছে। সে প্রসঙ্গে প্রবীণের দাবি, এই প্রতিবাদ দেশের বেকারত্বের ফল। তাঁর কথায়, শুধুমাত্র মুসলিমদের জন্য নাগরিকত্ব তালিকা কার্যকর করা হোক।
আবার রামমন্দির ইস্যুতেও মোদি-শাহ জুটিকে আক্রমণ করেন প্রবীণ তোগাড়িয়া। তাঁর দাবি, না নরেন্দ্র মোদি করসেবক ছিলেন না তিনি কোনওদিন অযোধ্যা এর সপক্ষে প্রচার করেছিলেন। তাহলে রামমন্দির নির্মাণ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পিঠ কেন চাপড়ানো হবে? এদিন তিনি জন্ম নিয়ন্ত্রণ আইনও কার্যকর করার পক্ষে সওয়াল করেন।