নিউজ ডেস্ক :- কৃষকদের এই অদম্য মানসিকতাকেই কুর্নিশ জানিয়েছেন রাহুল গান্ধী। এক টুইটে তিনি বলছেন, “প্রধানমন্ত্রীর মনে রাখা উচিত অহংকার যখন সত্যের মুখোমুখি হয়, তখন পরাস্ত হয়। সত্যের জন্য লড়াই করা কৃষকদের দুনিয়ার কোনও শক্তি আটকাতে পারবে না। মোদি সরকারকে কৃষকদের দাবি মানতেই হবে। এটা তো সবে শুরু।” এর আগে আরও একটি টুইটে কংগ্রেস নেতা প্রধানমন্ত্রীকে খোঁচা দিয়েছিলেন। রাহুল বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী চিনের সঙ্গে যুদ্ধ করতে পারেন না ঠিকই। কিন্তু কৃষকদের সঙ্গে ভালই যুদ্ধ করেন।
কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভরত কৃষকদের তিনদিন একটানা লড়াইয়ের পর দিল্লি প্রবেশের অনুমতি মিলেছে। বিক্ষোভরত কৃষকদের চড়া মেজাজের সামনে কোনোরকম বাধাই তাদের নত করতে পারেনি। যদিও এই অনুমতি দেবার পরেও প্রশাসনিক তরফে তাদের ওপর টিয়ার গ্যাস ছোঁড়া হয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন কৃষক নেতারা। অল ইন্ডিয়া কিষাণ সংঘর্ষ কো অরডিনেশন কমিটির পক্ষ থেকে একথা জানানো হয়েছে।
জানা গেছে কৃষকদের উত্তর পশ্চিম দিল্লির বুরারির নিরঙ্কারি গ্রাউন্ডে এলাকায় জমায়েত করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যদিও কৃষকরা এখনও পর্যন্ত রামলীলা ময়দান অথবা যন্তর মন্তর যাবার দাবীতে অটল রয়েছেন। দিল্লি প্রবেশের পাঁচটি সীমানা দিয়ে কৃষকরা বিভিন্ন রাজ্য থেকে দিল্লিতে প্রবেশের চেষ্টা করছেন। এদিনই সকালে রোহতকে এক পথ দুর্ঘটনায় বিক্ষোভরত এক কৃষকের মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। নিহত কৃষকের জন্য হরিয়ানা সরকারের কাছে ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবী করা হয়েছে।
এদিন এক ট্যুইট বার্তায় কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী জানান – প্রধানমন্ত্রীর মনে রাখা উচিৎ যখন যখন অহংকার সত্যের সঙ্গে সংঘর্ষে যায় তখন তাকে পরাজিত হতে হয়। সত্যের লড়াই লড়ছেন কৃষকরা। কোনো বাধাই তাঁদের আটকাতে পারবেনা।
এর আগে কৃষকদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিন দাবী পেশ করা হয়েছিলো। যার মধ্যে দিল্লি প্রবেশের অনুমতি সহ দুটি দাবী ইতিমধ্যেই মেনে নেওয়া হয়েছে।
গত কয়েকদিনের মতই এদিনও সকাল থেকেই বিজেপি শাসিত হরিয়ানা সরকারের পক্ষ থেকে এবং দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে কৃষকদের দিল্লি প্রবেশ আটকাতে লাঠি চার্জ, জল কামান, ব্যারিকেড, রাস্তা কেটে দেওয়া – সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়। যদিও কোনো কিছুতেই কৃষকদের আটকানো যায়নি। একের পর এক কংক্রিটের ব্যারিকেড ট্রাক্টর দিয়ে সরিয়ে ফেলেন কৃষকরা। অবশেষে বিক্ষোভরত কৃষকদের দিল্লি প্রবেশের অনুমতি দিতে বাধ্য হয় প্রশাসন।