সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: গোমূত্র পান করলেই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানো যাবে! এই ভাবনাচিন্তার জেরে গোমূত্র পান করে অসুস্থ হয়ে পড়লেন ঝাড়গ্রামের এক ব্যক্তি। গোমূত্র পান করার পর থেকে তাঁর গলা জ্বালা, পেটের যন্ত্রণা শুরু হয় বলেই দাবি। ওই যুবক বর্তমানে ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভরতি। চিকিৎসকদের দাবি, আপাতত বিপন্মুক্ত তিনি।
ঝাড়গ্রাম শহরের জামদার বাসিন্দা শিবু গড়াই। বছর পঁয়তাল্লিশের ওই ব্যক্তি শুনেছিলেন গোমূত্র পান করে করোনা ভাইরাস ঠেকানো সম্ভব। সেই অনুযায়ী নবদ্বীপের মায়াপুর থেকে গোমূত্র কেনেন তিনি। ওই গোমূত্র পানের পর থেকে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। শিবুর দাবি, গোমূত্র পান করা মাত্রই তাঁর গলা জ্বালা করতে শুরু করে। অসহ্য পেটের যন্ত্রণাও শুরু হয়। অস্বস্তিবোধ করেন শিবু। পরিজনদের শারীরিক অসুস্থতার কথা জানতে পারার পরই তাঁকে ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তড়িঘড়ি শুরি হয় চিকিৎসা। এ প্রসঙ্গে ঝাড়গ্রাম জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ মৃধা বলেন, “ওই ব্যক্তি আপাতত এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আপাতত সুস্থ রয়েছেন তিনি। গোমূত্রে ব্যাকরেটিয়া থাকে। যা খেলে অনায়াসেই যে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। নানা শারীরিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে। ঠিক সেরকমই তাঁর শারীরিক অসুস্থতা দেখা গিয়েছে।”
সোমবার জোড়াসাঁকোয় গোপুজো করে গোমূত্র পান করান গেরুয়া শিবিরের নেতারা। এই ঘটনায় যদিও বিজেপি নেতা নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশ। তার আগে গোমূত্র পার্টিরও আয়োজন করতে দেখা গিয়েছে হিন্দু মহাসভাকে। রায়গঞ্জেও ঠিক একইভাবে বিজেপি নেতারা গোমূত্র পার্টির আয়োজন করা হয়। তা নিয়েও বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে। তারই মাঝে গোমূত্র পান করে গুরুতর অসুস্থ ঝাড়গ্রামের যুবক।
সোৌজন্য:- প্ততিদিন