সুরাফ হোসেনের ন্যায় বিচারের দাবিতে বিভিন্ন গণসংঘটনের আন্দোলনকারীদের গ্ৰেফতার : পথে এসডিপিআই
রাজেস সেখ :- সুরাফ হোসেন ও তার পরিবারের উপর পুলিশি নির্যাতনের ন্যায় বিচার চেয়ে জেলা শাসকের কাছে ডেপুটেশন দেওয়ার কর্মসূচি ছিল। কয়েকটি মানবাধিকার, গণ সংগঠন ও রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে। পুলিশের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে কলকাতা হাজরা মোড়ে পথসভা শুরু হতেই পুলিশ তার দেওয়া কথা ভঙ্গ করে কোন কারণ না দেখিয়েই জোর করে আন্দোলনকারীদের পুলিশ ভ্যানে তুলতে শুরু করে। পুলিশ ভ্যানে তোলার সময় আইনজীবী আনিসুর রহমানকে পুলিশ মারধর করে। তাঁর ডান হাতে মারাত্মক চোট লাগে। দুই জন মহিলা সহ পনেরো জনকে ভ্যানে করে লালবাজার নিয়ে যায়। পরে পুলিশ তাঁদের জানায় তাঁদের গ্ৰেফতার করা হয়েছে।
পুলিশের এই জোর জবরদস্তি বেআইনি গ্ৰেফতারের খবর সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই সমাজের বিভিন্ন স্তরে প্রতিবাদ শুরু হয়। মুর্শিদাবাদ এর বিভিন্ন জায়গায় এসডিপিআই পথ অবরোধ করে।। পথ অবরোধ করে পথ সভা করে ডোমকল, ইসলামপুর, সাগর দিঘী, সুতি ও সমসেরগঞ্জে। বন্দী মুক্তি কমিটির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ছোটন দাস পুলিশের এই বেআইনি কাজের তীব্র সমালোচনা করে আটক আন্দোলনকারীদের মুক্তির দাবিতে প্রেস বিবৃতি দেন। ভাঙরের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী পুলিশের এই কাজকে স্বৈরাচারী বলে আখ্যায়িত করে আটক ব্যক্তিদের বিনা শর্তে মুক্তি দাবি করেন। গ্ৰেফতারকৃত ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন এসডিপিআই এর রাজ্য সভাপতি তায়েদুল ইসলাম, আইনজীবী আনিসুর রহমান, সেভ ডেমোক্রেসির চঞ্চল চক্রবর্তী, এপিডিআর এর রণজিৎ শূর, অধিকার এর নাতাশা খান, একুশের ডাক এর নবকুমার বিশ্বাস সহ অন্যান্যরা। সন্ধে ছয়টার পরে প্রত্যেককে ব্যক্তিগত বন্ডে ছেড়ে দেওয়া হয়।