নিউজ ডেস্ক : প্রথম দু’দফার ভোটের ফল খারাপ হতে চলেছে বিজেপির জন্য। গত লোকসভার নিরিখে মূলত যে কেন্দ্রগুলিতে এগিয়ে ছিল বিজেপি, বিধানসভায় সেখানে হতাশাজনক ফলের আশঙ্কায় বেশ চিন্তিত মোদি–শাহ সহ গেরুয়া শিবিরের গোটা কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। দিল্লি থেকে ‘গোপন সূত্র’ মারফত এমন খবরই পেয়েছেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সহ–সভাপতি এবং প্রাক্তন বিজেপি নেতা যশবন্ত সিনহা।
যশবন্ত এককালে বাজপেয়ী জমানায় দেশের অর্থমন্ত্রী এবং বিদেশ মন্ত্রী ছিলেন। শোনা যায়, পরে দলের রাশ মোদি শাহের হাতে চলে যাওয়া গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়তে থাকে। ২০১৮ সালে দল থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর থেকেই মোদি জমানার অন্যতম সমালোচক হয়ে ওঠেন তিনি। সদ্যই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন যশবন্ত। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি বলেন, ‘গোপন সূত্রে জানতে পেরেছি, পাঁচ রাজ্যে ভোট নিয়ে গতকাল অনেক রাতে আলোচনায় বসেছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বাংলার বিধানসভা নির্বাচন নিয়েও অনেকক্ষণ কথা হয়েছে সেখানে। প্রথম ২ দফার ভোটে তাদের ফল হতাশাজনক হতে চলেছে, এটা তারা বুঝেছেন। পরের ছ’দফাতেও যে খুব একটা সুবিধে করে উঠতে পারবেন, তাও টের পেয়েছেন। তাই মানসিক খেলায় মেতেছে গোটা গেরুয়া নেতৃত্ব।’
বিজেপির ‘মাইন্ড গেম’–এর রণকৌশল নিয়ে আগেই সরব হয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়ান। বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামে ভোট পর্ব মিটতেই বিজেপি দাবি করতে শুরু করেছে, সেখানে মমতার হার নিশ্চিত। তৃণমূল অন্য কোনও আসন থেকে দাঁড়াচ্ছেন কিনা, সেদিন থেকেই জল্পনা উস্কে দিতে শুরু করেছেন মোদি–শাহ। ঘাসফুল শিবিরের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে জানানো হয়েছে নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় নিশ্চিত তাই অন্য কোন আসন থেকে পুনরায় দাঁড়ানোর কোন প্রশ্নই ওঠে না। তা সত্ত্বেও শনিবার ওই জল্পনাই জিইয়ে রাখতে দেখা গেল মোদিকে। সেই প্রসঙ্গ টেনেই যশবন্ত বলেন, ‘পরিকল্পনা করে গুজব রটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে, অন্য আসন থেকে নির্বাচন লড়বেন মমতা। যত সম্ভব মিথ্যে বলার রণকৌশল নিয়েছে বিজেপি। আমরাও প্রস্তুত তার মোকাবিলা করার জন্য। মানসিক খেলা খেলে জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করতে চাইবেন তারা। বাংলার মানুষ এই ফাঁদে পা দেবেন না।’