সেখ আফসার হােসেন ওয়াকফ এস্টেটের সম্পত্তি বিক্রি করে পলাতক তিন ভাই,
ওয়াকফ বোের্ড চিঠি দেওয়া সত্ত্বেও উদ্যোগ নেয়নি বিএলআরও
আবদুল ওদুদ :- ১১০ বিঘে সম্পত্তি থেকে এখন বর্তমান মােতাওয়াল্লি কাছে রয়েছে মাত্র ১২ শতক। তা আবার পুকুর। বাকি সবই পূর্বতন মােতাওয়াল্লিরা সুকৌশনে নিজেদের নামে রের্কড করে বিক্রি করে দিয়েছেন। এই রকমই ঘটনা ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙা ২ নম্বর ব্লকে মিলকি গ্রামে। ১৯৫৮ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দফায় দফায় নিজেদের নামে করে নিয়ে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে ১১০ বিঘে ওয়াকফ সম্পত্তি। রাজ্য ওয়াকফ বাের্ড জেলা প্রশাসনকে একাধিকবার চিঠি করেও এর ফল মেনেনি। এমনটাই অভিযােগ করলেন বর্তমান মােতাওয়াল্লি আনােয়ার হােসেন। এ ব্যাপারে রাজ্যে ওয়াকফ বাের্ডে একাধিকবার আবেদন জানিয়েছেন এই সম্পত্তি উদ্ধারে। ওয়াকফ বাের্ড জেলা প্রশাসনকে বার বার চিঠি করা সত্ত্বেও নির্বিকার থেকেছে ১১০ বিঘে সম্পত্তি। আর এই কাজ শুরু হয়েছে ১৯৫৮ সাল থেকে। এই কাজের বিরােধিতা করার জন্য বর্তমান মােতাওয়াল্লি আনােয়ার হােসেনকে জেলে পর্যন্ত যেতে হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ১ কাঠাও জায়গায় উদ্ধার হয় নি । দেওয়া হয় প্রানাশের হুমকি। এরপর
ধীরে ধীরে এই সম্পত্তি বিক্রির কাজ শুরু করেন। এই ১১০ বিষে সম্পত্তির মধ্যে কিছু চাষযোগ্য জমি থাকলেও ছিল বড় বড় পুকুর এবং কিছু ডােবা। এৱা তিন ভাই মিলে রেকর্ড সংশােধনের কাজটা সুনিপুণভাবে করে গিয়েছে বলে আনােয়ার হােসেন জানান। ২০০৬ সালের শেষ দিকে বাগবুল মঞ্জু অবৈধভাবে সেই ওয়াকফ সম্পত্তির ১৫ বিঘে বিক্রি করে দেয়। সেইসঙ্গে আরও ১০ বিঘে জমি বিক্রি করার চেষ্টা চালান। ওই সময়ে দুই সদস্য আনােয়ার হােসেন ও ইউসুফ হােসেন বাধা দিলে
মঞ্জুর অঙ্গুলি হেলনে বিএলআরও কাজ করেন বলে অভিযােগ। ফলে বার বার হেয়ারিংয়ে পরিবর্তন হয়। যার ফলে আর পর্যন্ত বিক্রি হয় যাওয়া সম্পত্তি মােতাওয়াল্নিরা ফিরে পায়নি আনােয়ার হােসেন অভিযােগ করে ওয়াকফ বাের্ডের নির্দেশ অনুযায়ী সিএসও ওয়া ইনরােলমেন্ট মােতাবেক আরএস সংশােধনে পরামর্শদেন। কিন্তু বিএলআরও এখনও সেই কাজ করেনি। ফলে ১১০ বিঘে সম্পত্তি এখনও বেদখ হয়ে পড়ে রয়েছে। মঙ্গলবার রাজ্য ওয়াকফ বাের্ডে চেয়ারম্যান আবদুল গণি বলেন, বিষয় অত্যন্ত দুখজনক, ওয়াকফ সম্পতি বেদখল হওয়া ।অর্থাৎ আল্লাহর সম্পত্তি নিয়ে যারা বেদখল করে বিক্রী করে তখন তাদের মানুষ বলা যায় না।
প্রকাশ থাকে যে বাধা দেওয়া ব্যাক্তিদে কে জেলে পাঠায়। এবং দুমাস জেলে থাকেন। আর ওই সময়ে জেলে থাকার সুবাদে বিক্রি করতে তাদের সমস্যা হয়নি। ২০০৭ সালে ওয়াকবাের্ডের দ্বারস্থ হন তারা কিন্তু শেষ পর্যন্ত কাঠাও উদ্ধার করতে পারেনি। বরং ঘুরিয়ে শুনতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আনােয়ার হােসেন ও ইউসুফ হােসেন। পর পর চারবার পিটিশন জারি করে হাইকোর্ট ওয়াকফ বাের্ডকে এই জমির ব্যাপারে দ্রুত হস্তক্ষেপের নির্দেশ দেন। ২০০৮ সালে ওয়াকফ বাের্ড খতিয়ে দেখতে টিম পাঠায়। এরপর বাকবুল মঞ্জুকে মােতাওয়াল্লি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ওয়াকফ বোর্ডের প্রতিনিধি দল সরজমিনে খতিয়ে দেখে নতুন করে পাঁচজন মােতাওয়াল্লির নাম ঘােষণ করেন। দায়িত্ব দেওয়া হয় আনােয়ার হােসেন, ইউসুফ আলি, ফজলে মৌলা, আলাউদ্দিন সেখ ও মুজিবর রহমানকে। কিন্তু গােলাম পীরের ছেলে বাগবুল মঞ্জু বারবার বাধা দিতে থাকেন। কোর্টের নির্দেশে ওয়াকফ বাের্ড
প্রসঙ্গত, সম্ভাব্য ১৭৯৩ সালের দিকে নবাবি আমলে মিলকি এলাকার প্রখ্যাত দানবীর মরহুম আফসার আলি মসজিদের নামে ১১০ বিঘে সম্পত্তি ওয়াকফ করেন। তিনি যতদিন জীবিত ছিলেন, মােতাওয়াদ্ির দায়িত্ব তাঁর উপরই ছিল। 1. কিন্তু মৃত্যুর পর এই সম্পত্তির রাশ বিভিন্ন হাত ঘুরতে থাকে। অবশেষে ১৯৫৮ সালে তারই বংশধর গােলমপীর নামে এক ব্যক্তির উপর মােতাওয়াল্লির ভার দেওয়া হয়। আর তখন থেকে শুরু হয় নিজেদের নামে রেকর্ড করে নেওয়ার পালা। পরবর্তীতে গােলামপীরের তিন সন্তান
এ বিষয়ে যারা ছিনিমিনি খেলছে তাদের কোনওভাবে ছাড় দেওয়া যাবে না। দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় বিএল আরও কেন কাজ করছেন তা নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় বলে চেয়ারম্যান জানান। গােলাম পালে তিন সন্তান বাগবুল মঞ্জু, কবির মঞ্জু ইকবাল মঞ্জু কেউই ওই গ্রামের বসবাস করে না বিদেশে পালিয়েছেন কবির মঞ্জু থাকেন সালারে, ইকবাল মঞ্জু বহরমপুরে এবং বাগবুল মঞ্জুও বহরমপুে থাকেন। নবাবি আমলের এই সম্পত্তিতে ছিল একটি ঐতিহ্যবাহী মসজিদ। কিন্তু সেটি অনেকটা ভেঙে যাওয়ায় নয়া মােতাওয়াল্লিরা ২০১৩ সালে নতুন করে মসজিদ তৈরি করেছেন। কিন্তু জন্যও অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে পুরাতন ভগ্নপ্রায় এই মসজিদকে বাধ্য দেওয়া চেষ্টা করলেন পরে রাজ্য ওয়াকফ বাের্ডে সহযােগিতাই কাজ শুরু হয়। বর্তমানে মসজিদটিতে নামাযপাঠ চলছে। আবদুল গণি সাহেবের চেয়ারম্যান থাকাকালীনই ২০১৬ সালে থেকে বিভিন্ন সময়ে ব্লকের বিএলআরওনে জানানাে সত্ত্বেও কেন এই সম্পত্তি উদ্ধার হয়নি কেন তা নিয়ে বেশ রহস্য দানা বাঁধছে। আবদুল বলেন, সেখ আফসার হােসেন ওয়াকফ এস্টে (ইসি নম্বর ১২০৭) কেন আজও পর্যন্ত উদ্ধা হচ্ছে সেই সম্পর্কে নতুন করে কাজ শুরু করতে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হচ্ছে ।
প্রকাশ থাকে যে
বাধা দেওয়া ব্যাক্তিদে কে জেলে পাঠায়। এবং দুমাস জেলে থাকেন। আর ওই সময়ে জেলে থাকার সুবাদে বিক্রি করতে তাদের সমস্যা হয়নি। ২০০৭ সালে ওয়াকবাের্ডের দ্বারস্থ হন তারা কিন্তু শেষ পর্যন্ত কাঠাও উদ্ধার করতে পারেনি। বরং ঘুরিয়ে শুনতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আনােয়ার হােসেন ও ইউসুফ হােসেন। পর পর চারবার পিটিশন জারি করে হাইকোর্ট ওয়াকফ বাের্ডকে এই জমির ব্যাপারে দ্রুত হস্তক্ষেপের নির্দেশ দেন। ২০০৮ সালে ওয়াকফ বাের্ড খতিয়ে দেখতে টিম পাঠায়। এরপর বাকবুল মঞ্জুকে মােতাওয়াল্লি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ওয়াকফ বোর্ডের প্রতিনিধি দল সরজমিনে খতিয়ে দেখে নতুন করে পাঁচজন মােতাওয়াল্লির নাম ঘােষণ করেন। দায়িত্ব দেওয়া হয় আনােয়ার হােসেন, ইউসুফ আলি, ফজলে মৌলা, আলাউদ্দিন সেখ ও মুজিবর রহমানকে। কিন্তু গােলাম পীরের ছেলে বাগবুল মঞ্জু বারবার বাধা দিতে থাকেন। কোর্টের নির্দেশে ওয়াকফ বাের্ড আবার নতুন ভাবে কাজ শুরু করছে ।