প্রকাশ্যে দুর্গার সামনে বৈশাখীকে সিঁদুর পড়ালেন শোভন, আইনী জালে জড়াতে পারেন শোভন চট্টোপাধ্যায়, মন্তব্য আইনজীবীদের
পরিমল কর্মকার (কলকাতা) : বিজয়া দশমীর দিন একটি পূজা মন্ডপে মা দুর্গার সামনে কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায় তার বান্ধবী বৈশাখী বন্দোপাধ্যায়কে সিঁদুর পড়াচ্ছেন….. এমনই একটি ছবি শুক্রবার ভাইরাল হয়। রাজ্য জুড়ে হাতে হাতে মোবাইলে মোবাইলে ঘুরছে এই ছবি। তবে আইনজীবীরা বলছেন, এই ছবির জন্যই শোভন ও বৈশাখী দুজনেই আইনের জালে জড়িয়ে পড়তে পারেন, কারণ দুজনেই বিবাহিত। শোভনের স্ত্রী রয়েছে অন্যদিকে বৈশাখীরও স্বামী রয়েছে। এদের দুজনের কারোরই ডিভোর্স হয়নি। হিন্দু শাস্ত্র মতে ও আইনী নিয়মে কোনো বিবাহিত পর পুরুষ কোনো বিবাহিত মহিলাকে এভাবে সিঁদুর পড়াতে পারেন না। আগামী দিনে এই ঘটনা সমাজকে কলুষিত করবে বলে তাদের ধারণা। শুধু তাই নয়, শোভনের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায় অথবা বৈশাখীর স্বামী মনোজিত মণ্ডল যদি আইনের দ্বারস্থ হন তবে শোভন-বৈশাখী দুজনেরই বিপদ আসন্ন বলেই মত পোষণ করেছেন আইনজীবীরা। আর এনিয়েই রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
ঘটনায় প্রকাশ, দুর্গাপূজায় বিজয়া দশমীর দিন (শুক্রবার, ১৫ অক্টোবর) একটি পূজা-মণ্ডপে শোভন চট্টোপাধ্যায় তার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী বৈশাখী বন্দোপাধ্যা়য়ের কপালে সিথীতে সিঁদুর পড়িয়ে দেন। ছবিটি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ও সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। তারপরই আইনজীবীদের মধ্যে শুরু হয়ে যায় আইনী চর্চা।
আলিপুর আদালতের বিশিষ্ঠ আইনজীবী সুব্রত মিস্ত্রি বলেন, “কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়ের কোনো যোগ্যতাই ছিলনা ওই পদে বসার। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দয়ায় শোভন ওই পদে বসতে পেরেছিলেন। শোভন-বৈশাখী যে ঘটনা ঘটালো সেটা সম্পূর্ণ অবৈধ একইসঙ্গে সমাজও কলুষিত হলো। এদের রাজনীতিতে আর স্থান নেই জেনেই এরা অপকর্মের মাধ্যমে প্রচারের আলোকে আসতে চাইছেন। সমাজ যেন এইসব অপকর্মের কান্ডারীদের বয়কট করে…।”
বিশিষ্ঠ আইনজীবী মানবেন্দ্র দাস (সান্টা) বলেন, “এই সিঁদুর পড়ানোর ঘটনাটা সম্পূর্ণ অবৈধ। রত্না চট্টোপাধ্যায় যদি শোভনের বিরুদ্ধে মামলা করে তবে শোভন জোর ফেঁসে যাবে। কারণ রত্নার সঙ্গে শোভনের এখনও ডিভোর্স হয়নি। রত্না যদি চায় তবে তার হয়ে অবশ্যই মামলা লড়তে আমি রাজী আছি….।” শোভনের এই কান্ড কারখানা সমাজের কাছে নিন্দনীয় বলে জানালেন আইনজীবী মানবেন্দ্র দাস।