ওয়েব ডেস্ক :- রাম মন্দিরের ভূমিপূজো হয়ে গেছে .দেশের বিভিন্ন স্থানের পবিত্র মাটি ও জল বিভিন্ন স্থান থেকে পাঠানো হয়েছিল । সেই মতো মতুয়াদের পক্ষ থেকেও পাঠানো হয়েছিল জল ও মাটি ।কিন্তু এখন শোনা যাচ্ছে সেই পবিত্র জল ও মাটি নাকি ছোট জাত বলে না নিয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে। রাম মন্দিরের ভূমিপুজো নিয়ে আপাতত সরগরম রাজনীতির অলিন্দ। এবার সেই ইস্যুকে হাতিয়ার করেই তরজা শুরু হল ঠাকুরবাড়িতেও। কামনা সাগরের জল ও মাটি পাঠানোর নামে বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর ঐতিহ্যশালী ঠাকুরবাড়ির সম্মান নিয়ে খেলা করেছেন বলেই অভিযোগ মতুয়া সংঘাধিপতি মমতাবালা ঠাকুরের। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শান্তনু ঠাকুর।
বৃহস্পতিবার বনগাঁর প্রাক্তন সাংসদ তথা সারা ভারত মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি মমতাবালা ঠাকুর বনগাঁর দেবগড় এলাকায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। ওই সভামঞ্চ থেকে তিনি দাবি করেন, শান্তনু ঠাকুর রাম মন্দিরের ভূমিপুজোর জন্য ঠাকুরবাড়ির পবিত্র কামনা সাগরের জল এবং মাটি পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু জল, মাটি রাম মন্দিরের ভূমিপুজোয় কাজে লাগানো হয়নি বলেও অভিযোগ তাঁর। মমতাবালা ঠাকুরের দাবি, কামনা সাগরের জল ও মাটি ফেরত পাঠানো হয়েছে। প্রাক্তন সাংসদের দাবি, এভাবে আদতে ঠাকুরবাড়িকেই শান্তনু ঠাকুর অপমান করেছেন। কেন অপমান করলেন, তার জবাবও চেয়েছেন তিনি। এছাড়া শান্তনু ঠাকুরের বিরোধিতায় চতুর্দিকে বিক্ষোভ এবং তাঁর কুশপুত্তলিকা দাহ করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন মমতাবালা ঠাকুর।
যদিও শান্তনু ঠাকুর তাঁর দাবি মানতে নারাজ। তিনি বলেন, “কামনা সাগরের জল এবং মাটি প্রত্যাখ্যান করা হয়নি। ভূমিপুজোর কাজে না লাগিয়ে ফেরত পাঠানো হলে তা আরএসএসের পক্ষ থেকে জানানো হত।” শান্তনু ঠাকুরের সুরেই সুর মিলিয়েছেন তাঁর দাদা তথা অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি সুব্রত ঠাকুরও। তিনি বলেন, “ঠাকুরবাড়ির মাটি এবং জল রাম মন্দিরের ভূমিপুজোয় কাজে লাগানো হয়েছে। কোন রাজনৈতিক দল তার স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য গুজব রটাচ্ছে।” মমতাবালা ঠাকুরের বক্তব্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তিনি যা বলেছেন তা তাঁর নিজস্ব মত। উনি কোন রাজনৈতিক দলের পদাধিকারী বলে হয়তো দলের চাপে এসব বলেছেন।” সব মিলিয়ে রাম মন্দির ইস্যু নিয়ে এবার উতপ্ত ঠাকুরবাড়ির অন্দরমহল।