ওয়েব ডেস্ক: – বৈভবের জীবন এখন অতীত। রাজনৈতিক সঙ্গীদেরও দেখা নেই। জেলের অন্ধকারে একা দিন কাটছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের । কীভাবে কাটবে একাকী জীবন? জেলের কুঠুরিতে বন্দি পার্থকে একাকী জীবন কাটানোর মন্ত্র শেখালেন তাঁরই প্রাক্তন সতীর্থ মদন মিত্র !
চিটফান্ড মামলায় দীর্ঘদিন জেলে কাটিয়েছেন কামারহাটির বিধায়কও। তাই সেই নিঃসঙ্গতা সম্পর্কে সম্যক ধারনা রয়েছে তাঁর। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই শনিবার বেহালা পশ্চিমের বিধায়ককে মদনের পরামর্শ, “জীবনের কিছুটা সময় একলা চলতে হয়।” এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে জার্মানির হিটলার, গৌতম বুদ্ধর উদাহরণ টেনে আনেন মদন। কামারহাটির বিধায়কের কথায়, “হিটলার বাঙ্কারে একা গিয়েছিলেন। ইতিহাস অনুযায়ী, গৌতম বুদ্ধ সাধনা করেছিলেন একাই। জীবনের একটা সময় একলা চলতে হয়।” মদন আরও বলেন, “একা চলাটাও একটা আর্ট। সময় শিখিয়ে দেবে একা চলার সময় কীভাবে লড়তে হবে।”
এসএসসি কাণ্ডে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেপ্তারির পর থেকেই উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। কটাক্ষ করেছেন তাঁর প্রাক্তন সতীর্থরাই। দিন কয়েক আগে বান্ধবীর সংখ্যা নিয়ে পার্থকে কটাক্ষ করেছিলেন মদন মিত্র। এবার একলা থাকা নিয়ে পার্থকে পরামর্শ দিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, প্রেসিডেন্সি জেলের ‘পয়লা বাইশ’ সেল ওয়ার্ডের দু’নম্বর সেলে ঠাঁই হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। এই ওয়ার্ডেই পার্থর পাশের সেলে রয়েছেন তৃণমূল নেতা ছত্রধর মাহাতো। ওয়ার্ডের অন্যান্য সেলের বাসিন্দাদের মধ্যে আছে মার্কিন দূতাবাসে হামলা চালানো কুখ্যাত জঙ্গি আফতাব আনসারি, জামালউদ্দিন নাসের-সহ বেশ কয়েকজন মাওবাদী নেতা।
ইডি সূত্রে খবর, জেলে কোনও বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়নি পার্থকে (Partha Chatterjee)। যে দু’নম্বর সেলে পার্থকে রাখা হয়েছে, সেখানে কোনও চেয়ার বা খাট নেই। রাতে মেঝেতেই কম্বল পেতে শুতে হয়েছে প্রাক্তন মন্ত্রীকে। জেলের নিয়মানুসারে মোট চারটি কম্বল দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এগুলো মেঝেতে পেতেই রোজ শুতে হবে এবং এগুলিকেই বালিশ হিসাবে ব্যবহার করতে হবে। তবে এই সেলে কমোড রয়েছে।