নিউজ ডেস্ক::- ক্রমশ বাড়ছে দিল্লিতে কৃষক আন্দোলনের উত্তাপ ,এবার কৃষকরা বেঁধে দিলেন সময়সীমা । দীর্ঘদিনের আন্দোলনের পরও কর্ণপাত করেনি সরকার। কেন্দ্রের চোখ খুলতে ২৬ জানুয়ারি ট্রাক্টর র্যালি এবং আজ শনিবার দেশজুড়ে চাক্কা জ্যাম কর্মসূচিরও আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে কাজের কাজ তেমন কিছু হয়নি। সরকার মাথা নোয়ানোর কোনও ইঙ্গিতও দেয়নি। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই কৌশলী অবস্থান নিলেন বিক্ষোভকারীরা। কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত জানিয়ে দিলেন, বিতর্কিত আইন প্রত্যাহারের জন্য সরকারকে ২ অক্টোবর অর্থাৎ গান্ধী জয়ন্তী পর্যন্ত সময় দিতে চান তাঁরা। এই সময়সীমার মধ্যে আইন প্রত্যাহার না হলে পরবর্তীতে নতুন করে আন্দোলনের রূপরেখা নির্ধারণ করা হবে।
শনিবার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত দেশজুড়ে ‘চাক্কা জ্যাম’ কর্মসূচি পালন করেছে কৃষকরা। এই তিন ঘণ্টা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জাতীয় এবং রাজ্য সড়ক অবরোধ করতে দেখা গিয়েছে কৃষি আইনের বিরোধীদের। এই বিক্ষোভ কর্মসূচির প্রভাব মূলত পাঞ্জাব এবং হরিয়ানায় পড়লেও অন্যান্য রাজ্যেও কমবেশি বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে। যদিও, রাজধানী দিল্লিকে এই ‘চাক্কা জ্যাম’ কর্মসূচির আগে নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছিল। প্রায় ৫০ হাজার নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন ছিলেন রাজধানীতে। তাই দিল্লিতে সেভাবে এর প্রভাব পড়েনি। উত্তরাখণ্ড এবং উত্তরপ্রদেশকে আবার এই কর্মসূচির বাইরে রেখেছিলেন কৃষকরাই। চাক্কা জ্যাম কর্মসূচির শেষে কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত জানিয়ে দিয়েছেন, যতদিন না সরকার বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহার করছে, ততদিন দিল্লির বিক্ষোভস্থল ছেড়ে তাঁরা যাবেন না। তিনি বলেন,”আমাদের দাবি পুরণ না হওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভস্থল আমরা ছাড়ব না। কেন্দ্রকে এই আইন প্রত্যাহারের জন্য ২ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। তারপর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।”
এদিকে বিতর্কের মধ্যেই বিক্ষোভকারী কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন দেশের ৭৫ জন প্রাক্তন আমলা। কেন্দ্রের উদ্দেশে লেখা এক খোলা চিঠিতে তারা বলছেন,”বিক্ষোভকারী অরাজনৈতিক কৃষকদের সঙ্গে দায়িত্বহীন বিরোধীদের মতো আচরণ করতে পারে না সরকার। সরকার যদি সত্যিই সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান চায়, তাহলে ১৮ মাসের জন্য আইন স্থগিত রাখার মতো অসংলগ্ন প্রস্তাব না দিয়ে আইন প্রত্যাহার করুক। তারপর সমাধান খুঁজুক।” এই চিঠিতে সই করেছেন নাজিব জঙ্গ, জুলিয়া রিবেরো, অরুণা রায়ের মতো প্রাক্তন আমলারা।
সৌজন্য :- সংবাদ প্রতিদিন