নিউজ ডেস্ক:- লকডাইন আর করোনা দেশের অথর্নীতির গতিকে থামিয়ে দিয়েছে। সাধারণ মানুষের হাতে নাই পয়সা ।প্রতিদিনই বাড়ছে ডিজেল প্রেটলের দাম । এই রকম পরিস্থিতিতে বাড়ছে বিজেপি দলের আয়। গাড়ি থেকে বাড়ি- দেশে চূড়ান্ত আর্থিক মন্দার শিকার সাধারণ মানুষ। আমজনতার হাতে টাকা নেই, তারমধ্যে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, জিডিপির উল্কাগতিতে পতন, শেয়ার ধস- ভারতীয় অর্থনীতির করুণ দশায় তাজ্জব গোটা বিশ্বও। যদিও এখনও সেই পাঁচ ট্রিলিয়নের অর্থনীতির স্বপ্ন ফেরি করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর ক্ষমতায় আসা যে স্লোগানে ভর করে, সেই ‘আচ্ছে দিন’-এর ছোঁয়াও এখনও পেয়ে ওঠেনি সাধারণ মানুষ। কিন্তু বিজেপির আয়ের খতিয়ান দেখলে বলতেই হবে, দেশের জন্য না হোক, মোদীর দলের জন্য এটাই তো ‘আচ্ছে দিন’!
এমন কথা বলার সঙ্গত কারণ আছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনকে নিজেদের বার্ষিক আয়–ব্যয়ের রিপোর্ট জমা দিয়েছে নরেন্দ্র মোদীর দল। তাতে দেখা যাচ্ছে, ২০১৮–১৯ আর্থিক বর্ষে দলের আয় বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। ২০১৭–১৮ আর্থিক বর্ষে যেখানে আয় ছিল ১০২৭ কোটি টাকা, সেখানে গত আর্থিক বর্ষে আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪১০ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরের মধ্যে বিজেপির আয় বেড়েছে ২৪১০ কোটি টাকা! এর মধ্যে আবার ৬০ শতাংশ অর্থ এসেছে নির্বাচনী বন্ড থেকে।
ওই হিসাব বলছে, ২০১৭–১৮ আর্থিক বর্ষে আর্থিক বছরে বিজেপি ব্যয় করেছে ৭৫৮ কোটি টাকা। যদিও এর মধ্যে সিংহভাগ ৫৬৭ কোটি টাকা তাঁরা খরচ করেছিল ভোট প্রচারে। গত বছর অবশ্য খরচও বেড়েছে বিজেপির। গত বছরে তাদের ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ১০০৫ কোটি টাকা। খরচ বেড়েছে, তবে আয় বেড়েছে চমৎকৃতভাবে। গত বছরে খরচ করা ১০০৫ কোটি টাকার মধ্যে ৭৯২.৪ কোটি টাকা বিজেপির খরচ হয়েছে ভোটের প্রচারে। নির্বাচনী বন্ডেও গত বছর বিজেপির আয় চমকে ওঠার মতো। ২১০ কোটি টাকা এসেছিল নির্বাচনী বন্ড থেকে।
২০১৬ সালের ৮নভেম্বর রাতে হঠাৎই নোটবন্দির কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই ঘোষণা মতো ৫০০ ও ১,০০০ টাকার নোট পুরোপুরি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। যার সরাসরি প্রভাব পড়ে ভারতের অর্থনীতিতে। এর জেরে ব্যবসায়ী ও ক্ষুদ্র সংস্থাগুলি বেকায়দায় পড়ে যায়। বহু মানুষ কাজ হারান। নগদ টাকার সংকট দেখা দেয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলিও সমস্যায় পড়ে। কিন্তু এত সব আলোড়ন ফেলে দেওয়া ঘটনার কোনও আঁচ যে পড়েনি বিজেপির আয়ে, তা স্পষ্ট। আর তা নিয়েই সরব সব বিরোধী দলগুলি। তাঁদের অভিযোগ, নোটবন্দির ফায়দা একমাত্র তুলেছে বিজেপি। আর তার জন্যই বিজেপি সরকার প্ল্যানমাফিক এই নোটবন্দির পথে হেঁটেছিল। সারা দেশ আর্থিক ভাবে পঙ্গু হলেও বিজেপি এগোচ্ছে বিদ্যুৎ গতিতে।
এর পাশাপাশি বাড়ছে জিও র মালিকের আর্থিক সম্পত্তি ।