পোর্টাল ও ইউ-টিউব চ্যানেলের খবর “খায় না মাথায় দেয়” কুমন্তব্য একটি বাংলা চ্যানেলের এক মূর্খ-পাতি সাংবাদিকের
পরিমল কর্মকার (কলকাতা) : বেহালায় বিজেপি ক্লাব সেলের এক নেতার সঙ্গে ফোনে কথা প্রসঙ্গে একটি বাংলা টিভি চ্যানেলের এক পাতি সাংবাদিক (ফটোগ্রাফার) পোর্টাল ও ইউ-টিউব চ্যানেলের খবর সম্পর্কে কুমন্তব্য করে বসেন। এইসব চ্যানেলের খবর মানুষ “খায় না মাথায় দেয়…..” এমনই এক নিন্দা সূচক কুমন্তব্য করে বসলেন বেহালার এক পাতি সাংবাদিক। শুক্রবার (১ অক্টোবর) রাত প্রায় ১১ টা নাগাদ এক বিজেপি নেতাকে এই কথা বলেন তিনি। ওই সময় এই প্রতিবেদক সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিবেদককে স্পিকার ফোনে এই কথাগুলি শোনান ওই বিজেপি নেতা। উল্লেখ্য, পোর্টাল ও ইউ-টিউবের সংবাদ সম্পর্কে এই ধরনের মন্তব্য করায় ওই পাতি-মূর্খ সাংবাদিকের (ফটোগ্রাফারের) নিন্দায় এখন সরগরম বেহালার সাংবাদিক মহল।
জানা গিয়েছে, ওই সাংবাদিক় তার বাংলা টিভি চ্যানেলের বুম নিয়ে বহু জায়গায় গিয়েই সাধারণ মানুষের উপর প্রভাব খাটাবার চেষ্টা করে বলে খবর। তাই বেহালা এলাকার অধিকাংশ সাংবাদিকই তার সঙ্গে খুব একটা মেলামেশা করেন না। এই একঘরে সাংবাদিকের এই ধরনের কুমন্তব্যে বেজায় চটেছে বিভিন্ন পোর্টাল ও ইউ-টিউবের সম্পাদক থেকে শুরু করে সাংবাদিকেরা। শুধু তাই নয়, এলাকার অন্যান্য টিভি চ্যানেলের অধিকাংশ সাংবাদিকও এব্যাপারে ক্ষুব্ধ। এ বিষয়ে প্রতিবেদক বলেন, “পোর্টাল ও ইউ-টিউবের সাংবাদিকদের সঙ্গে টিভি চ্যানেলের সাংবাদিকদের মধ্যে ভেদাভেদ করার অধিকার কে দিল ওই পাতি-মূর্খ সাংবাদিককে ? ওই সাংবাদিককে (ফটোগ্রাফারকে) যদি কোনও একটা পত্রিকার খবর লিখতে দেওয়া হয়, তাহলে বোধহয় সে তার কলম-টার নিভই ভেঙ্গে ফেলবে…. যার এই যোগ্যতা তার মুখে কি আর এসব কথা মানায়… ?”
সাংবাদিকদের মধ্যে ভেদাভেদ সৃষ্টিকারী এই সাংবাদিকের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। এ প্রসঙ্গে অনেকেই বলছেন, আরামবাগ টিভি, বাংলার বার্তা, নতুন বাংলা, এবিএন নিউজ, রুদ্র বার্তা, খবর বাংলা, কলিং ক্যাম্পেন মিডিয়া, প্রথম কলকাতা, ইবিসি নিউজ (এবার বাঁধন ছেঁড়া), বিবিপি নিউজ, টাইম বাংলা, সুপার হিট খবর, বঙ্গ নিউজ, রেগুলার ইন্ নিউজ, টাইম বাংলা, আরপি টিভি নিউজ, বেঙ্গল টু-ডে ইত্যাদি পোর্টাল ও ইউ-টিউব নিউজগুলো কি তাহলে গুরুত্বহীন অথবা মূল্যহীন ? মানে ওই পাতি সাংবাদিকের কথায় “খায় না মাথায় দেয়… গোছের।”
উল্লেখ্য, বর্তমান বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তির অগ্রগতির যুগে পোর্টাল ও ইউ-টিউব যেভাবে দ্রুততার সঙ্গে সংবাদ প্রচার ও প্রকাশে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে তা অবশ্যই উল্লেখযোগ্য বলে সংবাদ বিশ্লেষকদের ধারণা। তাই বর্তমান যুগে পোর্টাল ও ইউ-টিউব চ্যানেলের খবর সম্পর্কে এই ধরনের কূমন্তব্যকারি ওই মূর্খ ও অযোগ্য সাংবাদিক কি করে একটা টিভি চ্যানেলে কাজ করছেন, সেটাই এখন বিস্ময়ের। বিষয়টি নিয়ে পোর্টাল ও ইউ-টিউব নিউজ সংস্থাগুলির একত্রিত হয়ে আলোচনায় সামিল হতে চলেছে বলে খবর। বিশদে আলোচনার জন্য ৬২৯১৭৫৫৮৪১ নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন বলে জানান হয়েছে।
_________________________
NB : সমস্ত ইউ-টিউব ও পোর্টালের সম্পাদক ও সাংবাদিকরা ফোনে যোগাযোগ করুন : ৬২৯১৭৫৫৮৪১/ ৯০৩৮৪৯২৬৬৯ (WA)