আন্তজার্তিক ওয়েবডেস্ক:- করোনা আবহেও নিজামুদ্দিন কান্ড থেকে CAA এন আর সি সহ পিটিয়ে হত্যা ।গোহত্যা নামে মানব হত্যা এই সকল বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমেরিকা ভারত কে এক প্রশ্ন চিহ্ণের উপর দাড় করাল । মোদী সরকারের ক্ষমতায়নে দেশের ধর্মনিরপেক্ষতা ক্রমশ তলানির দিকে। অনেকেই এমনটা অনুমান করলেও খাতায়-কলমে হিসেব আসেনি কখনও। এবার সেই হিসেব তুলে ধরল আমেরিকা। সরাসরি প্রশ্নের মুখে ফেলে দেওয়া হল ভারতের মতো দেশে ধর্মনিরপেক্ষতা আদৌ রয়েছে কিনা। ২০১৯ সালের তথ্যের ভিত্তিতে সম্প্রতি মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এক রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। যেখানে পৃথিবীর সমস্ত দেশ গুলির ধর্মীয় স্বতন্ত্রতা তুলে ধরা হয়েছে। আর এই রিপোর্ট এই ভারতের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির উপর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আমেরিকা। ভারতের ওপর নজর রাখা হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে রিপোর্টে। বলার অপেক্ষা রাখেনা ধর্মনিরপেক্ষ ভারতে এমন অভিযোগ রীতিমতো চিন্তার।
আন্তর্জাতিক ধর্মনিরপেক্ষতা ২০১৯- এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের ইতিহাস অনেক বেশি সহিষ্ণু। এখানে সমস্ত ধর্মের মানুষের প্রতি সমান দৃষ্টিভঙ্গি রাখা হয়। তবে বর্তমানে এই ভারতে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। রিপোর্ট অনুযায়ী গোটা বিশ্বে দশ জনের মধ্যে আটজন মানুষ তার ধর্ম পরিচয় নিয়ে সমস্যার মুখোমুখি। মার্কিন ওই রিপোর্টে ভারতে সাম্প্রতিক সময়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে চলা তুমুল বিক্ষোভ তুলে ধরা হয়েছে। তুলে ধরা হয়েছে জম্বু কাশ্মীর থেকে হঠাৎ করে ৩৭০ ধারা সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি। এখানেই তুলে ধরা হয়েছে ভারতের মাটিতে গরুকে কেন্দ্র করে চলতে থাকা নানাবিধ হিংসার ঘটনা।
এই রিপোর্টে বলা হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে কেন্দ্র করে ভারতে প্রচুর প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হয়েছে। এবং এই আইনকে ধর্মীয় ভেদাভেদ মূলক আইন হিসেবেই দেখা হচ্ছে। এই আইন কে কেন্দ্র করে দেশের একাধিক বিজেপি নেতা ও ধর্মীয় সংগঠনের নেতৃত্ব উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন সংখ্যালঘুদের উদ্দেশ করে। একাধিক গণপিটুনির ঘটনায় তুলে ধরা হয়েছে রিপোর্টে। উল্লেখ্য, প্রতিবছর মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের তরফে প্রকাশ করা হয় বিশ্বের ধর্মনিরপেক্ষতার প্রেক্ষিতে এই ধরনের রিপোর্ট। আগেও একবার ভারতের প্রসঙ্গে এই ধরনের একটি প্রবেশ করেছিল আমেরিকা। যদিও সে রিপোর্ট পুরোপুরি খারিজ করে দেয় ভারত সরকার।
সৌজন্য:- mahanagar