রোগী ফেরানোর দায়ে এবার ফর্টিস ও আইরিশ হসপিটালকে জরিমানা ! ১০ টির বেশি বেড থাকলেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে রোগী ভর্তির নির্দেশ লঙ্ঘন হচ্ছে, গুরুত্ব হারাচ্ছে “স্বাস্থ্যসাথী”
পরিমল কর্মকার (কলকাতা) : ক্যালকাটা হসপিটালের পর এবার রোগী ফেরানোর অভিযোগ উঠল দক্ষিণ কলকাতার ফর্টিস ও আইরিশ হসপিটালের বিরুদ্ধে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো গত বছর (২০২০) রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছিল, যেসব বেসরকারি হসপিটাল ও নার্সিং হোমে ১০ টির বেশি বেড আছে, তাদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের আওতায় আনা হয়েছে। তারা কোনো ভাবেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডধারী রোগীকে ফেরাতে পারবেন না। কিন্তু তা সত্বেও সরকারি নির্দেশ লঙ্ঘন করছে অধিকাংশ হসপিটাল ও নার্সিং হোম। যারফলে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডটি ক্রমশঃ গুরুত্ব হারাচ্ছে বলে অভিযোগ।
প্রসঙ্গত: রাজ্য সরকারের নির্দেশ থাকা সত্বেও দক্ষিণ কলকাতার ফর্টিস ও আইরিশ হসপিটাল স্বাস্থ্যসাথী কার্ডধারী রোগীকে ফেরানোর দায়ে অভিযুক্ত হল। শুক্রবার এই দুই বেসরকারি হাসপাতালকেই জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিল রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশন। ফর্টিস হসপিটালকে দিতে হবে ১৫ হাজার টাকা সেইসঙ্গে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রোগীদের বাড়িয়ে বিল করার দায়ে আরও ৯০ হাজার টাকা। পাশাপাশি বাঘাযতীনের আইরিশ হসপিটালকে দিতে হবে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা।
উল্লেখ্য, যাদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড আছে তাদের ফেরানো যাবেনা বলে সরকারি বিজ্ঞপ্তি থাকা সত্ত্বেও অধিকাংশ হসপিটাল এই কার্ডকে গুরুত্বই দিচ্ছে না। তারা় রোগীদের ভর্তি না নিয়ে চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত করছে। রাজ্য সরকারের ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল যেসব বেসরকারি হসপিটাল কিংবা নার্সিং হোমে ১০ টির বেশি বেড রয়েছে তারা স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে ভর্তি নিতে বাধ্য। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে সেটা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই লঙ্ঘিত হচ্ছে, আর তার ফলেই গুরুত্ব হারাচ্ছে স্বাস্থ্যসাথী…..এমনই অভিযোগ অধিকাংশ মানুষের।